সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সাস নরওয়ে’ ছবিটির কথা মনে আছে? বাস্তব ঘটনাই ফুটে উঠেছিল সেই ছবিতে। ভারতীয় সংস্কৃতি, রীতিনীতি মেনে সন্তানদের মানুষ করায় বিপাকে পড়েছিল চ্যাটার্জি পরিবার। নরওয়ে প্রশাসন কেড়ে নিয়েছিলেন বাঙালি পরিবারের সন্তানদের। অনেকটা তেমন ঘটনাই এবার ঘটল মার্কিন মুলুকে। ফোনে পরিবারের মুমুর্ষু রোগীর সঙ্গে হিন্দি ভাষায় কথা বলায় চাকরি খোয়ালেন ৭৮ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক ইঞ্জিনিয়ারের।
মার্কিন মুলুকের আলাবামায় এক নামী সংস্থার সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন অনিল ভর্ষনী। একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অফিস চলাকালীন নিজের শ্যালকের সঙ্গে হিন্দিতে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন তিনি। ভারতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। কিন্তু সেই কথোপকথন শুনে ফেলেন এক সহকর্মী। এরপরই হিন্দিতে কথা বলার অভিযোগে চাকরি হারান অনিল। গত অক্টোবরে ঘটে এই ঘটনা। যার জন্য আইনি পদক্ষেপ করেছেন অনিল।
[আরও পড়ুন: ‘ন্যূনতম পরিষেবা দিতেও ব্যর্থ’, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন হার্দিক]
৭৮ বছরের চাকরিহারা অনিল জানান, “গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বরের আমার শ্যালক কেসি গুপ্ত ভিডিও কল করেছিলেন। ভারতে মৃত্যুশয্যায় পড়েছিলেন তিনি। শেষবারের মতো কথা বলার জন্যই ফোন করেছিলেন।” আর হয়তো কখনও কথা হবে না। এই ভাবনা থেকেই অফিসে থাকাকালীনই ফোনটি রিসিভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার জন্য কাজে বিন্দুমাত্র গাফিলতি করেননি। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র হিন্দিতে কথা বলার জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।
নিজের চাকরি জীবনে এই সংস্থা থেকেই সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তা সত্ত্বেও যে কারণে তিনি চাকরি হারিয়েছেন, তা মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই নিজের চাকরি ফিরে পেতে আইনি পদক্ষেপ করেছেন অনিল। পাশাপাশি সংস্থার থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন। এখন দেখার এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায়।