সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। যখন চিন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে জোয়ার আনতে আর্থিক বাজেট বাড়িয়ে দিয়েছে, ঠিক তখনই নিজেদের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে মুখ খুললেন দেশের সেনা কর্তারা। ২০১৮-১৯ প্রতিরক্ষা বাজেটে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে যে পরিমাণ অর্থ জরুরি, তার থেকে অনেক কম বরাদ্দ হয়েছে। এর জেরে আধুনিকীকরণে প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সারাথ চাঁদ।
[পিএনবি কাণ্ডের জের, বাতিল হবে ‘লেটার অফ আন্ডারটেকিং’]
প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শরত চাঁদ বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাজেটে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রের কাছে ২৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বাজেটে দাবি ছিল। সেই জায়গায় ২১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর জেরে আটকে যেতে পারে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র পেশ কিছু প্রকল্প। কেননা এখনও ১২৫টি প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে আরও কিছু চাহিদা রয়েছে। এই বাজেট দেখে আমাদের প্রত্যাশা কমেছে। আমরা আশাহত। যা পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই না।’
প্রতিরক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য প্রচুর খরচের বহর রয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ অর্থের ৬৩ শতাংশ চলে যাবে সেনাবাহিনীর বেতন খাতে। ১৪ শতাংশ পড়ে থাকবে আধুনিকীকরণ খাতে। যেখানে আধুনিকীকরণের জন্য দাবি করা হয়েছিল ২০-২৫ শতাংশ। আধুনিকীকরণ খবু জরুরি। কেন না সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত য্ন্ত্রপাতির মধ্যে ৬৮ শতাংশই মান্ধাতা আমলের। এখনও পর্যন্ত মাত্র আট শতাংশ আধুনিকীকরণের আওতায় এসেছে। ১৯৬২ সাল থেকে দেশের জিডিপি অনুসারেই প্রতিরক্ষা বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ তৈরি হয়ে আছে। চিনের সঙ্গে যুদ্ধের বছরে ১৯৬৩-তে প্রতিরক্ষা বাজেটের বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বেড়েছিল।
আশ্চর্যের বিষয়, যেদিন সীমান্তে চিনের অগ্রগতি নিয়ে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত, একই দিনে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন শরত চাঁদ। রাওয়াত বলেন, ‘চিন এগোচ্ছে। আমি বলতে পারি সেনাবাহিনীর ক্ষমতাবৃদ্ধির সঙ্গে একই উচ্চতায় আর্থিক বরাদ্দও বাড়ে। চিন এটা ভোলেনি।’ সম্প্রতি প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে চিন। সেই প্রসঙ্গেই এহেন কটাক্ষ রাওয়াতের।
[মমতা নৈশভোজে এলেন না কেন, সুদীপকে প্রশ্ন সনিয়ার]
The post প্রতিরক্ষা বাজেটে খুশি নয় সেনাবাহিনী, থমকে যেতে পারে আধুনিকীকরণ appeared first on Sangbad Pratidin.