shono
Advertisement

মার্কিন পরমাণু দপ্তরের শীর্ষে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশেষজ্ঞ রীতা বারনাওয়াল

এমআইটি এবং বার্কলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বিভাগে কাজ করেছেন রীতা।
Posted: 04:24 PM Oct 05, 2018Updated: 04:24 PM Oct 05, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকের শক্তিসম্পদ দপ্তরের পরমাণবিক শক্তি বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরমাণু বিশেষজ্ঞ রীতা বারনাওয়াল। এখন কেবলমাত্র অপেক্ষা কেবল মার্কিন সেনেটের সিলমোহরের৷ তারপরেই ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম প্রধান পদে আসীন হবেন রীতা বারনাওয়াল।

Advertisement

[বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ায় ত্রাতা ভারতীয় বায়ুসেনা, শুরু অপারেশন ‘সমুদ্র মৈত্রী’]

প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, সেনেট ট্রাম্পের ইচ্ছেকে সমর্থন করলেই রীতা বারনাওয়াল শক্তিসম্পদ দপ্তরের নিউক্লিয়ার টেকনোলজি রিসার্চ অ্যান্ড দ্য ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পাবেন। আপাতত রীতা ‘দ্য গেটওয়ে ফর অ্যাকলেরেটেড ইনোভেশন ইন নিউক্লিয়ার’-এর (গেন) ডিরেক্টর পদে কাজ করছেন। এর আগে তিনি মার্কিন নৌসেনার হয়েও কাজ করেছেন। ছোট থেকেই মেধাবী রীতা বারনাওয়াল। মেটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছেন এমআইটি থেকে। তার পর আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। কর্মজীবনের শুরুতে রীতা এমআইটি এবং বার্কলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বিভাগে কাজ করেছেন।

গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘নিউক্লিয়ার এনার্জি ইনোভেশন ক্যাপাবিলিটিজ অ্যাক্ট’ স্বাক্ষর করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এই চুক্তিতে মার্কিন মুলুকে পরমাণু গবেষণা বিশেষমাত্রা পাবে। এই প্রসঙ্গে রীতা বারনাওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “শক্তিসম্পদ দফতরের উদ্যম দেখে আমি অভিভূত। সেনেটের ছাড়পত্র পেলে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে পরমাণু সম্পদের উৎপাদন বাড়িয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।”

[বিলাসবহুল ক্রুজে ভারতীয়দের অসভ্যতা! লজ্জায় দরজা আঁটলেন মহিলারা]

একদিকে যখন শক্তি সম্পদ দপ্তরের জন্য ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী রীতা বারনাওয়াল খরবের শিরোনামে এসেছেন, তখন অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদে ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী ব্রেট কাভানাও খবরে উঠে এসেছেন। তবে সম্পূর্ণ অন্য কারণে। যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রেট কাভানার যৌন কেলেঙ্কারির তদন্তের রিপোর্ট সেনেটের কাছে পাঠাল এফবিআই। রিপোর্টে কী আছে সে নিয়ে এখনও কেউ কিছু জানেন না। মার্কিন সেনেটের বিচারকমণ্ডলী একসঙ্গে বসে সেসব দেখার পরই এই নিয়ে মুখ খুলবে। আগে কাভানার বিরুদ্ধে সেনেটের বিচারবিভাগীয় কমিটির সামনে মুখ খুলেছিলেন অভিযোগকারিণী ক্যালিফর্নিয়ার অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্লেসি ফোর্ড। তিনি বিশদে জানিয়েছিলেন, কী ভাবে কিশোর বয়সে তাঁর উপরে চড়াও হয়েছিলেন ব্রেট। যৌন নিগ্রহের প্রতিটি মুহূর্তের কথা তুলে ধরেন তিনি। ঐতিহাসিক ওই শুনানি টিভি-তে দেখেছে গোটা দেশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement