সানরাইজার্স: ১৬২-৮ (গুপ্তিল ৩৬, বিজয় শংকর ২৫)
দিল্লি: ১৬৫- ৮ (পৃথ্বী ৫৬, পন্থ ৪৯)
দিল্লি ক্যাপিটালস ২ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলে কলকাতার হারের হতাশা অনেকাংশে ভুলিয়ে দিল দিল্লি। নাইটরা বিদায় নিলেও দাদার দিল্লি পৌঁছে গেল ফাইনালের দোরগোড়ায়। বিশাখাপত্তনমে এলিমিনেটরে হায়দরাবাদকে ২ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন শ্রেয়স আয়াররা। আগামী শুক্রবার মহেন্দ্র সিং ধোনির সিএসকের মুখোমুখি হবে দিল্লি। সেই ম্যাচ জিতলেই মিলবে মুম্বইয়ের সঙ্গে ফাইনাল খেলার সুযোগ।
[আরও পড়ুন: অতিরিক্ত জনপ্রিয়তার জের! ধোনির মেয়েকে অপহরণের হুমকি অভিনেত্রীর]
আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে কম পয়েন্ট (১২) পেয়ে প্লে-অফে উঠেছিল সানরাইজার্স। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তর রসিকতাও হয়েছে। সমর্থকদের দাবি ছিল, যোগ্য দল হিসেবে প্লে-অফে যায়নি সানরাইজার্স। সেই দাবি যে কিছুটা হলেও সত্যি তা এলিমিনেটরেই প্রমাণ করে দিল হায়দরাবাদের দলটি। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দলটা পুরোটাই ছিল ওয়ার্নার এবং বেয়ারস্টো নির্ভর। বিশ্বকাপের জন্য এই দুই তারকা দেশে ফিরে যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে বিপত্তি। দুই তারকার অভাব পূরণ করতে পারেনি হায়দরাবাদ। এদিন বিশাখাপত্তনমেও অভাব বোঝা গেল ওয়ার্নারদের। এহেন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে হায়দরাবাদের তোলা ১৬২ রান যে যথেষ্ট নয়, তা হয়তো অন্ধ সমর্থকরাও স্বীকার করবেন। তাই ভাল বোলিং করেও শেষরক্ষা হল না। দাদার দিল্লির কাছে হেরে এবারের মতো আইপিএলের আসর থেকে বিদায় নিতে হল সানরাইজার্সকে।
[আরও পড়ুন: স্পিন অস্ত্রেই চেন্নাই বধ রোহিতদের, পঞ্চমবারের জন্য আইপিএল ফাইনালে মুম্বই]
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। ব্যাটিং সহায়ক পিচে ওয়ার্নারহীন হায়দরাবাদ ৮ উইকেটের বিনিময়ে তোলে ১৬২ রান। সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন গুপ্তিল। শেষ বেলায় ১১ বলে ২৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বিজয় শংকর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে দিল্লি। প্রথম উইকেটের জুটিতেই উঠে যায় ৬৬ রান। পৃথ্বী শ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। যদিও, ১৫ তম ওভারে রশিদ খানের বলে দুটি উইকেট খুঁইয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। তবে, শেষ পর্যন্ত সেই চাপ সামলে নেন পন্থ। শেষ বেলায় একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন তিনি।
The post রূদ্ধশ্বাস ম্যাচে সানরাইজার্স বধ, ফাইনাল থেকে এক কদম দূরে দাদার দিল্লি appeared first on Sangbad Pratidin.