দীপ দাশগুপ্ত: কেকেআর (KKR) বনাম রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) প্রিভিউ লিখতে বসে বারবার একটা কথা মনে পড়ছে। ক্রিকেট খেলার সময় একটা কথা খুব শুনতাম। একজন অধিনায়ক কেমন করবে, সেটা নির্ভর করে সে পারফর্মার হিসেবে কেমন করছে, তার উপর। কেকেআরকে দেখেও সেটাই বারবার মনে হচ্ছে। দেখুন, কোনও ভাবেই নাইট রাইডার্সের এবারের টিমটাকে খারাপ বলা যাবে না। আর সেরা টিমটাই মাঠে নামছে। কিন্তু মাঠে নেমে আর পারছে না। কোনও দিন টপ অর্ডার ভাল করছে, কোনও দিন বোলাররা, কোনও দিন মিডল অর্ডার। কিন্তু সব ক’টা বিভাগ একসঙ্গে ভাল খেলতে পারছে না।
আমার মতে, রাজস্থানের বিরুদ্ধে শনিবারের ম্যাচটা কেকেআরের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ, চারটে ম্যাচের মধ্যে তিনেটেতেই হেরে গিয়েছে কেকেআর। আর একটা ম্যাচে হেরে যাওয়া মানে আরও অতলে তলিয়ে যাবে নাইটরা। আর কামব্যাক করতে হলে, সবার আগে কামব্যাক করতে হবে ইয়ন মর্গ্যানকে। ব্যাটসম্যান মর্গ্যানকে। দেখবেন, একবার ব্যাটসম্যান মর্গ্যান ফিরলে ক্যাপ্টেন মর্গ্যানও ফিরে আসবে। এবারের আইপিএলটা (IPL) এখনও পর্যন্ত একেবারেই ভাল যায়নি মর্গ্যানের। না ব্যাটসম্যান হিসেবে, না ক্যাপ্টেন হিসেবে। আমি নিজে একসময় বাংলা অধিনায়কত্ব করেছি বলে জানি যে, ব্যাটিং বা কিপিংয়ে আমি কেমন করছি, তার প্রভাব পড়ত আমার ক্যাপ্টেন্সিতে। মর্গ্যানেরও তাই হচ্ছে। ও তো আগে ব্যাটসম্যান। তারপর অধিনায়ক। তাই ক্যাপ্টেন মর্গ্যানকে ভাল করতে হলে আগে ব্যাটসম্যান মর্গ্যানের ফর্মে ফেরা জরুরি।
[আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে রিয়াল, বার্সা-সহ বিদ্রোহী ১২ দল? কী জানাল UEFA?]
কেকেআরকে দেখে আমার একটা কথা ক্রমাগত মনে হচ্ছে যে, কী রকম যেন খোলসের মধ্যে ঢুকে থাকছে টিমটা। এটা স্বাভাবিক। শুভমান গিল, মর্গ্যান– সবাইকে দেখেই এটা মনে হচ্ছে। আসলে আপনার ফর্ম খারাপ গেলে খুব স্বাভাবিক ভাবে আপনি গুটিয়ে থাকবেন। কেকেআরের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। কিন্তু এদিনের ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে গুটিয়ে থাকলে চলবে না। মানসিক ভাবেও ভয়ডরহীন থাকতে হবে টিমটাকে। একটা টিম মানসিক ভাবে কোন জায়গায় রয়েছে, সেটা তাদের ফিল্ডিং দেখলে বোঝা যায়। কেকেআর যে রকম বিশ্রী ফিল্ডিং করছে, তাতে পরিষ্কার মানসিক ভাবে টিমটা ভাল জায়গায় নেই।