এটিকে মোহনবাগান: ২ (উইলিয়ামস ও মনবীর)
নর্থইস্ট ইউনাইটেড: ১ (সুহের)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম লেগে দুই প্রতিপক্ষ একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েনি। ৯০ মিনিট এগিয়ে থেকেও ইনজুরি টাইমে নর্থইস্টের কাছে গোল হজম করতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। ফলে ড্র করেই সেদিন মাঠ ছেড়েছিলেন খালিদ জামিল ও হাবাসের ছেলেরা। মঙ্গল-সন্ধেতেও লড়াই হল সেয়ানে-সেয়ানে। দুই দলেরই ফাইনালে পৌঁছানোর তাগিদ ছিল নজরকাড়া। থ্রিলার ছবির মতোই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জিইয়ে ছিল সাসপেন্স। তবে শেষ হাসি হাসলেন অ্যান্তোনিও লোপেস হাবাসই।
[আরও পড়ুন: OMG! করোনা টেস্টের সময় এ কী করলেন শচীন? চমকে গেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও]
নিজের দলকে আগেও একাধিকবার ফাইনালে তুলেছেন হাবাস। আইএসএলে সবুজ-মেরুনের উদ্বোধনী মরশুমেই তার ব্যতিক্রম হল না। স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রেই ঘায়েল হতে হলেন দেশি কোচ। এদিন ম্যাচ শুরুর আগেই রয় কৃষ্ণর উপরই বাজি ধরেছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছিল, এদিন রয় কৃ্ষ্ণকে আটকাতে না পারলে চাপে পড়ে যাবে নর্থইস্ট। ফিজিয়ান স্ট্রাইকারকে মার্ক করার সব বন্দোবস্তও করেছিল পাহাড়ি দলটি। কিন্তু সেই ফাঁকেই গোল করে দিলেন অন্য দুই ফরোয়ার্ড। প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন উইলিয়ামস। যে গোলের নেপথ্যে ছিলেন রয় কৃষ্ণই। দ্বিতীয় গোলটি আসে মনবীরের পা থেকে। তবে খেলার শুরুতেই জাভির বল পোস্টে লেগে ফিরে না এলে কিংবা কৃষ্ণ সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া না করলে আরও বড় ব্যবধানে জিততেই পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
তবে নিঃসন্দেহে নর্থইস্টও খেলল ঘা খাওয়া সিংহের মতোই। বারবার তারা আক্রমণ শানায় বিপক্ষের ডেরায়। ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েননি। একটি গোল শোধ করে ফের খেলার উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন সুহের। তবে পেনাল্টি থেকে গোল মিস করতেই যেন স্বপ্নভঙ্গ হয়। আর নর্থইস্টকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেননি মনবীররা। দুই লেগ মিলিয়ে এটিকে মোহনবাগানের স্কোর ৩-২।
লিগ তালিকার শীর্ষে না থাকায় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ হচ্ছে না এটিকে মোহনবাগানের ঠিকই। তবে আইএসএল ফাইনালে ফের একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলভক্তরা। ১৩ মার্চ লোবেরার মুম্বইয়ের মুখোমুখি হবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।