সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বি জয় অতীত। এবার মিশন হায়দরাবাদ। সোমবার যে ভাবেই হোক হায়দরাবাদকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলতে মরিয়া সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তাহলেই গ্রুপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে এটিকে মোহনবাগান (ATK-Mohun Bagan)। মিলবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (AFC Champions League) খেলার ছাড়পত্রও। আর আপাতত এটাই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে হাবাস শিবিরের।
আসলে শুক্রবার ডার্বিতে জয় পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। শনিবার আবার চরম শত্রু মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC) হেরে গিয়েছে জামশেদপুরের কাছে। এই জয়ের ফলে জামশেদপুরের প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন যেমন জিইয়ে থাকল। অন্যদিকে গ্রুপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাও প্রায় শেষ মুম্বইয়ের। বরং লক্ষ্যের কাছাকাছি প্রায় পৌঁছে গেল হাবাস বাহিনী। সোমবার জিতলেই আগামী বছর এশিয়ান চ্যাম্পয়িন্স লিগে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে সবুজ-মেরুন। এই মুহূর্তে মুম্বই সিটির পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ৩৪। অন্যদিকে, সবুজ-মেরুন বাহিনীর সমসংখ্যক ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ এই মুহূর্তে রয় কৃষ্ণরা পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে। মুম্বই শেষের দু’টি ম্যাচ জিতলেও পৌঁছবে ৪০ পয়েন্টে। সেখানে সোমবার হায়দরাবাদকে হারাতে পারলেই ডেভিড উইলিয়ামস, প্রীতম কোটালরা পৌঁছবেন ৪২ পয়েন্টে। তাই সোমবারের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবেন সভ্য-সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জাপানি ঝড়! ব্যাডিকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার খেতাব জয় ওসাকার]
এদিকে, ডার্বি প্রসঙ্গে রয় কৃষ্ণ বলেন, “শুক্রবারের ম্যাচটা আমার ফুটবল জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা। নিজে গোল করেছি, দু’টো গোল করিয়েছি বা ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার জন্য নয়। কোটি কোটি সমর্থকরা ম্যাচটা জেতার জন্য অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিলেন। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পারা জীবনের বড় প্রাপ্তি। সেইজন্য শুক্রবারের যাবতীয় সাফল্য সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চাই।” পরপর ছ’ ম্যাচে গোল করলেন। এমন সাফল্য তাঁর অতীতেও ছিল। তাই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরে তিনি খুশি। “পরপর ছ’ ম্যাচে গোল করায় একটা আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। সোমবার কঠিন ম্যাচ। জিততেই হবে। সেই ম্যাচেও গোল করতে হবে।” জানিয়ে দিয়েছেন রয় কৃষ্ণ। গতবার ১৫টা গোল করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত এবার করেছেন ১৪টা গোল। আর দু’টো করলেই গতবারের সংখ্যা অতিক্রম করবেন। “দলগত সংহতির ফসল। নাহলে এত গোল করতে পারতাম না। আমার কাছে গোল পাওয়া বোনাস। আশাকরি গতবারের ১৫ গোল করার রেকর্ড ভেঙে দিতে পারব।” জানিয়েছেন রয় কৃষ্ণ।
অন্যদিকে, ম্যাচের আরও গোলদাতা জাভি তাঁর গোল ক্লাব সমর্থক ও স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছেন। আসলে শুক্রবার যে তাঁর স্ত্রীর জন্মদিন ছিল। আর এক গোলদাতা ডেভিড উইলিয়ামস জানিয়ে দিলেন, যে কোনও ফুটবলারের কাছে ডার্বিতে গোল পাওয়া পরম আনন্দের। তিনি বরং অখুশি দল আরও বেশি গোল না পাওয়ায়। “আমার গোল ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওই গোলের পর সকলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। মায়ের জন্মদিনের দিন গোল পাওয়ায় তা ‘মম’ কে উৎস্বর্গ করতে চাই।” জানিয়েছেন ডেভিড উইলিয়ামস। তবে যুবভারতীর ভরতি স্টেডিয়ামে গোল করতে পারলে তিনি যে আরও খুশি হতেন, সেকথাও জানান তিনি।