এসসি ইস্টবেঙ্গল–৩ (পিলকিংটন, মাঘোমা, ব্রাইট)
ওড়িশা এফসি–১ (মরিসিও)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ISL-এ কবে প্রথম জয় পাবে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)? টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এই প্রশ্নই ঘুরছিল লাল–হলুদ সমর্থকদের মনে। অবশেষে নতুন বছরের শুরুতে তাঁদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল। দুরন্ত ফুটবল খেলে ওড়িশা এফসিকে (Odisha FC) ৩–১ গোলে হারাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। লাল–হলুদের হয়ে গোল পিলকিংটন, মাঘোমা এবং নয়া বিদেশি ব্রাইটের। অন্যদিকে, ওড়িশার হয়ে একমাত্র গোল মরিসিওর।
এদিন দু’দলই কিছুটা সাবধান হয়ে খেলা শুরু করে। ধীরে ধীরে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। আর তাতেই আসে প্রথম গোল। ম্যাচের ১২ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন অ্যান্থনি পিলকিংটন। গোলের কারিগর অবশ্যই সদ্য লাল–হলুদে প্রত্যাবর্তন ঘটানো রাজু গায়কোয়াড। তাঁর লম্বা থ্রো ওড়িশার ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করতে পারেনি। সেই সুযোগে গোল করে যান পিলকিংটন।
গোল খেয়ে আবার পালটা আক্রমণে ওঠে ওড়িশা। দেবজিতের দৌলতে সে যাত্রায় রক্ষা পায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। পরপর দু’টি দুরন্ত সেভ করেন ‘সেভজিৎ’। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান পিলকিংটনও। তবে তাঁর শট পোস্টে লেগে ফেরে। ৩৯ মিনিটে একক দক্ষতায় নিজের প্রথম এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাঘোমা। প্রথমার্ধের শেষে এসসি ইস্টবেঙ্গল এগিয়েছিল ২–০ গোলে।
[আরও পড়ুন: হিন্দু হয়ে গোমাংস খেয়েছেন রোহিতরা? রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া নিয়ে এবার নয়া বিতর্ক]
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ওড়িশা। শুরুতেই মরিসিও একটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। এই অর্ধে ওড়িশার জেরি লাল–হলুদ রক্ষণের উপরে চাপ বাড়ান। ৫৬ মিনিটে তাঁর পাস থেকে ওনয়ুর শট পোস্টে লাগে। এখানেই শেষ নয়, আক্রমণ আরও বাড়ায় ওড়িশা। কিন্তু ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন থাকায় গোল হজম করেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। উলটে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে গোল করেন লাল–হলুদের নয়া বিদেশি ব্রাইট এনোবাখারে। মাঠে নামার পর থেকেই তাঁর টাচগুলো ছিল দেখার মতো। আর গোলটিও করেন চমৎকার। অভিষেকেই গোল করে ব্রাইট বুঝিয়ে দিলেন, লাল–হলুদে তাঁর ভবিষ্যৎ যেন সত্যিই ‘উজ্বল’।ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে ব্যবধান কমায় ওড়িশা। ম্যাচ জেতায় স্বস্তিতে ফাওলার।
এই জয়ের ফলে স্বভাবতই খুশি হবে লাল–হলুদ শিবির। আইএসএলে এটাই তাদের প্রথম জয়। দলের রক্ষণের শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার অভ্যেস অবশ্য চিন্তায় রাখবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।