বেঙ্গালুরু এফসি: ১ (সুনীল ছেত্রী)
এসসি ইস্টবেঙ্গল: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল শেষ ম্যাচের ফলাফল যাই হোক ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে ব্যর্থতার নতুন একটি অধ্যায় যোগ হতে চলেছে। তবু অন্তত শেষ ম্যাচ জিতে ভালভাবে লিগ শেষ করতে চাইছিলেন সমর্থকরা। তাতে লাগাতার হারের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়ত। কিন্তু মারিও রিভেরার ফুটবলাররা সেটাও পারলেন না। ১-০ গোলে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) কাছে হেরেই মাঠ ছাড়তে হল লাল-হলুদকে।
এদিনের ম্যাচ এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) কাছে সম্মানরক্ষার হলে বেঙ্গালুরু এফসির এদিনের ম্যাচ থেকে তেমন কিছুই পাওয়ার ছিল না। শেষ চারে যাওয়ার লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন সুনীলরা। তবু বেঙ্গালুরু এদিন যেভাবে লাল-হলুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল সেটা অবাক করার মতোই। শুরু থেকেই যেন লাল-হলুদের দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছিলেন সুনীলরা। প্রতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন প্রথম নেপালি হিসাবে আইএসএলে (ISL) অভিষেক করা অনন্ত তামাং ও তাঁর সতীর্থ ডিফেন্ডাররা। গোল পেতে অবশ্য বেঙ্গালুরুকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ২৪ মিনিট পর্যন্ত। ২৪ মিনিটে গোল করে ব্লু ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
[আরও পড়ুন: কপিলদেবের বিরল রেকর্ড ভাঙলেন জাদেজা, মোহালি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে চাপে শ্রীলঙ্কা]
এরপরও প্রথমার্ধে এবং দ্বিতীয়ার্ধে একাধিকবার লাল-হলুদের গোলমুখ খোলার চেষ্টা করেছে বেঙ্গালুরু। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এর অনেকটা কৃতিত্ব অবশ্য লাল-হলুদ গোলরক্ষক শুভম সেনের। শেষদিকে সুনীলের বিরুদ্ধে একটি অসাধারণ সেভ করেন তিনি। যার ফলে খেলা শেষ হয় ১-০ গোলে।
[আরও পড়ুন: মদ-সিগারেট-মাংস, শেন ওয়ার্নকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ‘পছন্দের’ জিনিসগুলিই আনছেন ভক্তরা]
১৯২৮ সালে কলকাতা লিগে সবার শেষে ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। নেমে গিয়েছিল দ্বিতীয় ডিভিশনে। আইএসএলে অবনমন থাকলে ৯৪ বছরের লজ্জা ফিরে আসত। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আজ জিতলে অন্তত দশম স্থানে থাকা নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের (North East United) সঙ্গে সমসংখ্যক পয়েন্টে শেষ করত লাল-হলুদ। সেটাও না পারায় ২০ ম্যাচে মাত্র ১১ পয়েন্টের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল পেরোসেভিচদের। অন্যদিকে শেষ ম্যাচে জয়ের ফলে সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসি শেষ করল ষষ্ঠ স্থানে।