স্টাফ রিপোর্টার: এএফসির (AFC) প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য পরের মরশুম থেকে আইএসএলে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে এফএসডিএল। ঠিক হয়েছে, একজন এশিয়ান কোটার ফুটবলার নিয়ে মোট চারজন ফুটবলার ম্যাচের সময় মাঠের ভিতরে থাকবেন। তবে বিদেশি ফুটবলারের কোটায় মোট ৬ জনকে সই করানো যাবে। যেখানে একজন এশিয়ান ফুটবলার রাখতেই হবে। আইএসএলের (ISL) দলগুলি যেহেতু সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছে, তাই এএফসি প্রতিযোগিতায় খেলার নিয়মকানুন মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে।
এএফসির পরামর্শ মতো এই মরশুমে আইএসএলের প্রতিটি দলের তিনটে করে ম্যাচ খেলার কথা ছিল। হোম আর অ্যাওয়ে ম্যাচের পর একটি নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা অতিমারিতে সময়ের অভাবে বেশি ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব ছিল না বলেই এবার আর নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ করা সম্ভব হয়নি। কম সংখ্যক ম্যাচ করে তাড়াতাড়ি আইএসএল শেষ করতে হয়েছে। কিন্তু পরের মরশুমে এএফসির নিয়ম মেনেই সব কিছু করতে হবে এফএসডিএলকে। সেই সূত্রেই বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যাও কমাতে হবে। আপাতত আইএসএলের প্রতিটি দলের প্রথম একাদশে ৫ জন করে ফুটবলার খেলতে পারেন। টুর্নামেন্টের শুরুর বছরগুলিতে এই সংখ্যাটা ছিল ৭।
[আরও পড়ুন: আমার ভুলেই সব শেষ, পারলে ক্ষমা করবেন: অরিন্দম]
তবে চারজন বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়মে ভারতীয় ফুটবলে অনকেই খুশি। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় ফুটবলারদের ভাল হল। তাঁরা আরও উঠে আসবেন। এই মরশুমের ৬ জন ভারতীয় ফুটবলার খেলার সুযোগ পেতেন। পরের মরশুম থেকে সুযোগ পাবেন ৭ জন ফুটবলার। বেশি ভারতীয় ফুটবলার ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন বলে জাতীয় দল গঠনেও সুবিধা হবে। তবে, একটা বিষয় এফএসডিএলকে (FSDL) ভাবাচ্ছে। বিদেশি সংখ্যা এতটা কমিয়ে দেওয়ার ফলে যদি খেলার মান পড়ে যায়, সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। আর সেটা আর্থিকভাবে আইএসএল কর্তৃপক্ষকে ধাক্কা দিতে পারে।