সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরিয়ত আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce) চাওয়ার অধিকার রয়েছে মহিলাদের। এর সঙ্গে স্বামীর ইচ্ছার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি ডিভোর্সে সম্মত না থাকলেও একজন মুসলিম (Muslim) মহিলা বিচ্ছেদ চাইতেই পারেন। এমনটাই জানাল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)।
আদালতে মুসলিম বিবাহ আইনে ডিভোর্সের ডিক্রি পেয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু তাঁর স্বামী ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হন হাই কোর্টের। তাঁর বক্তব্য ছিল, একজন মুসলিম মহিলা ‘খুলা’-র (ইসলামে বর্ণিত পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারেন) মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ চাওয়ার অধিকার রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেজন্য আগে তাঁকে স্বামীর কাছে তালাক চাইতে হবে। না পেলে তখনই তিনি আদালতে যেতে পারেন।
[আরও পড়ুন: খনি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, ED দপ্তরে তলব হেমন্ত সোরেনকে]
কিন্তু এই পিটিশনকে খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক ও বিচারপতি সি এস ডায়াসের বেঞ্চ জানিয়েছে,আদালত সহজেই খুলাকে মেনে নিতে পারে। এর সঙ্গে স্বামীর কোনও যোগ নেই। বিচারপতিদের মতে, পিটিশনে যা বলা হয়েছে তাতে মুসলিম মহিলাদের কার্যত তাঁদের স্বামীর ইচ্ছাধীন বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবেদনকে ‘নির্দোষ’ বলা যায় না। বরং তার মধ্যে যেন এই সম্প্রদায়ের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব ও মুসলিম ধর্মগুরুদের প্রভাব লক্ষিত হচ্ছে।
হাই কোর্ট জানিয়েছে, মুসলিম মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদ চাওয়ার আবশ্যিক অধিকার রয়েছে। পবিত্র কোরানই এই অধিকার দিচ্ছে। এবং এর জন্য স্বামীর সম্মতি বা অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। তবে আদালত জানিয়েছে ‘খুলা’র ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে তা মানতে হবে। সেগুলি হল ১) স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিতে হবে বিয়ের সমাপ্তির কথা। ২) পণ অর্থাৎ বিয়েতে পাওয়া যৌতুক ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখতে হবে। ৩) খুলার ঘোষণার আগে বিয়ে টিকিয়ে রাখতে দাম্পত্য সমস্যা মেটানোর যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে।