সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। লক্ষ্য একটাই। হামাস জঙ্গিদের সমূলে নিধন। যে কারণে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে ফেলার পর এবার ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ভয়ংকর অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলি ফৌজ! সেখানে খুঁজে খুঁজে খতম করা হচ্ছে শত্রুদের। বুধবার ইজরায়েলের হামলায় ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে নিহত হয়েছে ১০ হামাস জঙ্গি। জেহাদি সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নেতানিয়াহুর সেনা।
১১ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। গাজায় এখনও জারি রয়েছে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ (Israel Hamas Conflict)। এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। তবু যুদ্ধ থামার নাম নেই। গাজার পর এবার ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামলার ধার বাড়িয়েছে তেল আভিভ। মঙ্গলবার রাত থেকে সেখানকার জেনিন, তুলকারেম, নাবলুস ও তুবাসের মতো একাধিক শহরে আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এই হামলায় ৪ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। ইহুদি দেশটির এই হামলা নিয়ে মুখ খুলেছে হামাসও। তারা জানিয়েছে, এই ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে জেনিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদিমন্ত্রেই থামবে যুদ্ধ! বাইডেনকে শান্তির ‘নীল নকশা’ দেবেন জেলেনস্কি?]
রয়টার্স সূত্রে খবর, প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এদিন মূলত ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে টার্গেট করেছিল ইজরায়েল। সেখানে একসঙ্গে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। তুলকারেমে দুটি হাসপাতাল, নাবলুসের শরণার্থী শিবিরে আঘাত হানে ইজরায়েলি সেনার ড্রোন। তুবাসের কাছে আল ফারা শরণার্থী শিবিরেও ড্রোন হামলা হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়েই প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মেহমুদ আব্বাস বুধবার সৌদি আরব সফর স্থগিত রেখে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছেন।
এদিকে, ইজরায়েলি সেনা জানায়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে অভিযান চালানো হয়। যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা সকলেই সন্ত্রাসী। এর আগেও তেল আভিভের অভিযোগ ছিল, বহু হামাস জঙ্গি গাজা থেকে পালিয়ে এসে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের নানা শহরে ঘাঁটি গেরেছে। তাই তাদের খতম অভিযান চালানো হচ্ছে। হামাস, ফাতাহ ও ইসলামিক জেহাদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিশানা করা হয়। ইজরায়েলের গুলিতে নিকেশ হয়েছিল বেশ কয়েকজন প্যালেস্তিনীয় বন্দুকবাজ।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় তীব্র হয়েছে ওষুধের সংকট। যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে মৃতদেহের ভিড়ে। আহতের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে সবকিছু সামাল দিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে। এর মাঝেই এপ্রিল মাস থেকে দেখা দিয়েছে ওষুধের আকাল।