সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজার র্যানটিসি হাসপাতালে হামাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বন্দি করে করে রাখার অভিযোগ তুলেছিল ইজরায়েল। এবার এই অভিযোগের স্বপক্ষে জোরাল প্রমাণ দিল ইজরায়েলি ফৌজ। অভিযান চালিয়ে ওই হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে হদিশ মিলল বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের। যা নিয়ে ইহুদি দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একাধিক ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
সোমবার গাজায় (Gaza) ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান হানায় মৃত্যু হয়েছে হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা আহমেদ সিয়ামের। এই জেহাদির বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল র্যানটিসি হাসপাতালে রোগী ও গাজার সাধারণ মানুষ মিলিয়ে মোট ১০০০ জনকে বন্দি করে রাখার। সিয়ামকে নিকেশ করার পর ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় ইজরায়েলি ফৌজ। এই বিষয়ে ইজরায়েলের সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি জানিয়েছেন, “গাজার র্যানটিসি হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে হামাসের মজুত করা গ্রেনেড, অন্যান্য বিস্ফোরক-সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আমরা এখানে বন্দিদের থাকার প্রমাণও পেয়েছি। একই সঙ্গে খোঁজ মিলেছে কমান্ড সেন্টারেও।”
[আরও পড়ুন: বিদেশ সচিব হয়েই ক্যামেরনের নজরে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, জয়শংকরের সঙ্গে আলোচনা]
হাগারি আরও জানিয়েছেন, “ইজরায়েলের সেনা একটি মোটরবাইক উদ্ধার করেছে যার গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইজরায়েলিদের পণবন্দি করে তুলে আনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই হাসপাতাল থেকেও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাত জঙ্গিরা। এই মুহূর্তে এখানে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
উল্লেখ্য, শুধু এই র্যানটিসি হাসপাতালই নয়। ইজরায়েলের (Israel) অভিযোগ, গাজার একাধিক হাসপাতালে নিজের ঘাঁটি গেড়েছে হামাস। সাধারণ মানুষদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে যুদ্ধে ব্যবহার করছে জেহাদিরা। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার পর থেকেই জঙ্গিদের মুছে ফেলার ডাক দিয়ে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। জেহাদিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে তাই গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় হামলা চালিয়েছে ইহুদি দেশটি।