মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর তিন জঙ্গি। উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: করোনা দূর করতে অভিনব পুজো! মাস্ক ছাড়াই মন্দিরের পথে হাজারো মহিলা! ভাইরাল ভিডিও]
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জেহাদিদের। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর নিকেশ হয় আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠন আল বদরের তিন সদস্য। আত্মসমর্পণ করে আরও এক সন্ত্রাসবাদী। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আত্মসম্পর্ন করা জঙ্গির নাম তৌসিফ আহমেদ। ওই চার জঙ্গিই দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা। উপত্যকার এই অংশে বিশেষভাবে সক্রিয় জঙ্গিরা। ফলে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ। এদিনের অভিযানে তিন জঙ্গির নিকেশ হওয়াকে বড় সাফল্য হিদেবেই দেখছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর প্রধান গানি খোয়াজা। কাশ্মীরের হানদ্বারার বাসিন্দা খোয়াজা। ২০০০ সালে পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। তারপর কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১৮ সালে ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেয় সে। শুরুর দিকে হিজবুল মুজাহিদিনে থাকলেও সেখান থেকে লস্কর-ই-তইবায় চলে আসে। তারপর আল বদর সংগঠনে যোগ দেয় খোয়াজা। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই আগামীতে কাশ্মীরের কন্ঠ হয়ে উঠবে বলে দাবি করা হয়৷ সেসময় ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সংগঠন তৈরি করতে আল বদরকে আর্থিক সাহায্য করছে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ৷ এর জন্য নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।