সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটারে (Twitter) পরিবর্তনের রেশ অব্যাহত। ধনকুবের এলন মাস্ক (Elon Musk) এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের মালিক হতে চলেছেন একথা সকলেরই জানা। যদিও সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। এর মধ্যেই এবার টুইটার বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ালেন সংস্থার প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডর্সে। শেষ হল একটি যুগের।
যদিও ডর্সের পদত্যাগকে অপ্রত্যাশিত মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। ২০২১ সালের নভেম্বরেই তিনি সরে দাঁড়ান সিইওর পদ থেকে। তাঁর জায়গায় নতুন সিইও হন পরাগ আগরওয়াল। কেন ইস্তফা দিয়েছিলেন তা অবশ্য জানাননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও টুইটার বোর্ডে রয়ে গিয়েছিলেন ডর্সে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে কোনও পরিস্থিতিতেই ফের টুইটারের সিইও হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই তাঁর। ফলে শেষ পর্যন্ত বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ানোই যে স্বাভাবিক, তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অল্প বয়সেই কেন দিশাহীন বিদিশা? মডেলের ‘আত্মহত্যা’য় হতবাক প্রতিবেশীরা]
মেলে পাঠানো ইস্তফাপত্রে ডর্সে লেখেন, ”প্রায় ১৬ বছর ধরে আমাদের সংস্থায় যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা থেকে সিইও, চেয়ারম্যান থেকে এককিউটিভ চেয়ারম্যান, তারপর অন্তর্বর্তী সিইও থেকে সিইও, নানা পদে থাকার পরে এবার অবশেষে সময় হল ছেড়ে যাওয়ার। আমি টুইটার ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেননা আমি মনে করি সংস্থা এবার তার প্রতিষ্ঠাতাদের ছেড়ে অন্য পথে এগিয়ে যেতে চাইছে।”
এদিকে শোনা যাচ্ছে, এলন মাস্কের (Elon Musk) হাতে মালিকানা হস্তান্তরের অনেক আগেই টুইটারে শুরু হয়ে গিয়েছে ছাঁটাই পর্ব। টুইটারের দুই শীর্ষকর্তাকে ছাঁটাই করেছেন সিইও পরাগ আগরওয়াল। শুধু তাই নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নতুন নিয়োগও। তবে এখনও টুইটার কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি মাস্কের। একাধিক কারণে থমকে রয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের ‘ডিল’।
[আরও পড়ুন: প্রেমের টান, সংসার ছেড়ে টোটো চালকদের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন দুই গৃহবধূ! চাঞ্চল্য বাগদায়]
সব মিলিয়ে টুইটারের ভবিষ্যৎ এই মুহূর্তে টালমাটাল। বিশেষ করে গত ১৭ মে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি সংস্থা কেনার ব্যাপারটা আপাতত স্থগিত রাখছেন। মাস্কের বক্তব্য, তিনি যখন টুইটার কেনার প্রস্তাব দেন, তখন তাকে বলা হয়েছিল ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং স্প্যামের সংখ্যা ৫ শতাংশেরও কম। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, টুইটারে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ। যতদিন না পরাগ আগরওয়াল প্রকাশ্যে তথ্য দিচ্ছেন, ততদিন টুইটার কেনার এই চুক্তির কাজ এগোবে না বলেই জানিয়েছিলেন মাস্ক।