সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের গুলিতে খতম হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের ৪ অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই চার অভিযুক্তকে। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পালানো আটকাতে গিয়ে পুলিশ ওই চারজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চারজনের। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী তেলেঙ্গানা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে টুইট করেন এদিন। তিনি লিখেছেন, ‘বোনের (নির্যাতিতা) আত্মা এতে শান্তি পাবে আর দেশের মহিলাদের ভয় দূর হবে, জয় তেলেঙ্গানা পুলিশ।’
বিজেপি নেত্রী এদিন হিন্দিতে টুইট করে লিখেছেন, ‘এই শতাব্দীর ১৯তম বছরের সবচেয়ে বড় ঘটনা, যা নারীসুরক্ষার গ্যারান্টি দেবে।’ এনকাউন্টারের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পুলিশ আধিকারিক সাধুবাদের প্রাপ্য বলে মত তাঁর। তিনি লিখেছেন, ‘পাশবিক নির্যানের বলি ওই তরুণীর পরিবারের শোক হয়তো কোনওদিন যাবে না, কিন্তু বোনের (নির্যাতিতা) আত্মা এতে শান্তি পাবে আর দেশের মহিলাদের ভয় দূর হবে, জয় তেলেঙ্গানা পুলিশ।’ উমা ভারতীর বিশ্বাস, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্য রাজ্যের সরকারও দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে উদ্যত হবে।
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃতদের মৃত্যু ‘ক্ষতে মলম’, মন্তব্য নির্ভয়ার মায়ের]
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদের অদূরে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় স্কুটি রেখে অন্য এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান তরুণী। রাত সাড়ে নটা নাগাদ স্কুটি নিতে গিয়ে দেখেন তার চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছে। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। ইতিমধ্যেই দু’জন যুবক তাঁর কাছে এসে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পরেই রাজি হয়ে যান তরুণী। ওই যুবকেরা তাঁর স্কুটি নিয়ে যায়। ফিরে এসে জানায় স্কুটি সারানো সম্ভব হয়নি। তবে তরুণী চিকিৎসককে তারপরেও বাড়ি ফিরতে সাহায্য করার আশ্বাস দেয় ওই যুবকেরা। ঠিক সেই সময় ফোনে বোনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তরুণী। তিনি জানান ভয় লাগছে।
ইতিমধ্যেই আরও দু’জন যুবক টোলপ্লাজার কাছে জড়ো হয়। ওই চিকিৎসককে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে নির্জন এক স্থানে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। সেখানেই চারজন মিলে ধর্ষণ করে তাঁকে। চিৎকার থামাতে মদ্যপান করানো হয়। অত্যাচারে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। লরিতে চড়িয়ে তাঁর দেহ অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। নম্বর প্লেট খুলে ফেলে দেওয়া হয় স্কুটির। পুলিশের দাবি, মৃত্যুর পর ওই লরিতেও তরুণীকে ধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত। এরপর পেট্রল ঢেলে ব্রিজের নিচে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। পরেরদিন ব্রিজের নিচ থেকে গলায় থাকা গণেশের লকেট দেখে তরুণী চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ শনাক্ত করেন পরিজনেরা।
[আরও পড়ুন: ১১ বছর আগে একইভাবে এনকাউন্টার করেছিলেন হায়দরাবাদের ‘সিংঘম’ সাজ্জানর]
The post ‘জয় তেলেঙ্গানা পুলিশ’, হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের খবরে উচ্ছ্বাস উমা ভারতীর appeared first on Sangbad Pratidin.