শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পুরী বেড়াতে গিয়ে পিপলি গ্রাম ঘুরতে যাননি এমন পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। যাঁরা খুব কাছে গিয়েও পিপলি শিল্প দেখতে পারেননি তাঁরা পরে আক্ষেপ করেছেন। দর্শনার্থীর সেই আফশোশ মেটার সুযোগ করে দিয়েছেন জলপাইগুড়ির দিশারির পুজো উদ্যোক্তারা। ৫৪তম বর্ষের পুজো আয়োজনে এবার ওড়িশার পুরী জেলার পিপলি গ্রামটাকেই পুজো মণ্ডপে হাজির করতে চলেছেন তারা।
[থিম নয়, ক্যানসার আক্রান্ত কিশোরের গড়া প্রতিমাতেই প্রাণপ্রতিষ্ঠা ৬৬ পল্লিতে]
রংবেরঙের কাপড়ের উপর ফেব্রিকের হস্তশিল্প। যার নাম পিপলি। তা থেকেই পিপলি গ্রামের নামকরণ। সেই পিপলি শিল্প দিয়েই এবার সেজে উঠছে দিশারির মণ্ডপ। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। এর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। কৃত্রিম কিছু নয়, এর সরঞ্জাম এসেছে খাস পিপলি গ্রাম থেকে। নবদ্বীপ থেকে আসা শিল্পীরা তা ফুটিয়ে তুলেছেন মণ্ডপে। কয়েকশো রংবেরঙের কাপড়ের লণ্ঠন দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপের সিলিং। চারপাশে হাতের কারুকাজ।
[আশ্বিনেই বাঙালির তেরো পার্বণের স্বাদ মালদহের মণ্ডপে]
জলপাইগুড়ি শহরের আর পাঁচটা বিগ বাজেটের পুজোর মধ্যে অন্যতম দিশারি। এই বছর তাঁদের বিষয় ভাবনাই শহরবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ। পুজো কমিটির সম্পাদক চন্দ্রা কর্মকার জানান, কাজ দেখতে মানুষ প্রতিদিনই ভিড় করছেন মণ্ডপে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হলেও শিল্পীরা মানিয়ে নিয়েই কাজ করেছেন। পঞ্মীর মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মণ্ডপ শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরি করছেন নবদ্বীপ থেকে আসা মৃৎশিল্পী গৌতম সাহা। তাঁর কাজও প্রায় শেষ। পঞ্চমীতে উদ্বোধন। এখন শুধু বোধনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন শহরবাসী।
The post জলপাইগুড়ির দিশারিতে উঠে এসেছে এক টুকরো ‘পিপলি’ গ্রাম appeared first on Sangbad Pratidin.
