নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে শরিকি চাপের মুখে পড়তে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বড় দুই শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ, চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি এবং চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত হোক বলে দাবি করেছে বলেই সূ্ত্রের খবর।
বিলটি নিয়ে অবশ্য আগেই টিডিপি, এলজেপি প্রশ্ন তুলেছিল। তাতে নতুন সংযোজন নীতীশের দল। বিলটি পেশের সময়ে লোকসভায় অবশ্য জেডিইউ তার সপক্ষেই সওয়াল করেছিল। তবে বর্তমানে দলের অন্দরে বিলটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই তারা যে অবস্থান বদলাতে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। আগামী বছরেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। সেখানে সংখ্যালঘুদের প্রায় কুড়ি শতাংশ ভোট রয়েছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিলে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষা না হলে ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই নীতীশের মন্ত্রিসভার সংখ্যালঘু মন্ত্রীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিহারের সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রী মহম্মদ জামা খান ও জেডিইউয়ের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা ইতিমধ্যেই তাদের প্রশ্ন ও দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সাথে দেখাও করেছেন। শরিকি চাপে শেষ পর্যন্ত ওয়াকফ বিল নিয়ে কেন্দ্র কোন রাস্তায় হাঁটে, সেদিকে নজর রাখছেন বিরোধীরাও।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলে নিরীহ, ওকে কেউ ফাঁসিয়ে থাকলে তাকেও ধরা হোক’, দাবি সঞ্জয়ের মায়ের]
যে দুই শরিকের উপর ভর করে মোদি সরকার এবারে চলছে, তাদের তরফে ওয়াকফ বিল নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজেপির কপালে। যা আরও বৃদ্ধি করেছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ডর সভাপতি খালিদ সইফুল্লা রহমানি। তিনি দাবি করেছেন, নীতীশ ও নায়ডু দুই জনেই তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁদের দল সংসদে বিলটির পক্ষ নেবে না।
[আরও পড়ুন: টানা ৯ দিন সিবিআই হাজিরা, ফের সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপ]
উল্লেখ্য, সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষদিকে লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিল সরকার। বিল পেশের সময় থেকেই এ নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সমগ্র বিরোধী শিবিরই। বিরোধীদের চাপে বিলটিকে সংসদের যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। সদ্য বৃহস্পতিবার কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে এবং সেখানে এলজেপি সরাসরি বিলে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার দাবি তুলেছিল। প্রথম বৈঠকে জেডিইউ এবং টিডিপি ঘুরিয়ে সেই একই কথা বলেছে এবং বিল নিয়ে তারা সাবধানী মন্তব্য করেছে বলেই সূত্রের খবর।