মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: বানচাল অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) জেহাদি হামলার ছক। জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তইবার দুই জঙ্গি। এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার।
[আরও পড়ুন: আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, পুনর্বিবেচনা করতে কেন্দ্রকে সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট়]
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) অনন্তনাগ জেলার ডোরু এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই দ্রুত ছকে ফেলা হয় অভিযানের পরিকল্পনা। জেহাদিরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেই জন্য দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, আধাসেনা ও পুলিশের একটি যৌথবাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। ওই সংঘর্ষে লস্করের দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের নাম আরিফ হুসেন ভাট ও সুহেল আহমেদ লোন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একে-৪৭ রাইফেল-সহ প্রচুর হাতিয়ার।
নিহত জঙ্গিরা জুনের ৩০ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা অমরনাথ যাত্রায় হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। এপ্রিলের ১৬ তারিখ ওয়াটনাড় এলাকায় হওয়া এনকাউন্টারে অল্পের জন্য বেঁচে যায় ওই জেহাদিরা। সেবারের সংঘর্ষে নিশান সিং নামের এক সেনা অফিসার শহিদ হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় তিন সন্ত্রাসবাদী। হতদের মধ্যে ছিল হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ আশরফ খান ওরফে আশরফ মৌলবী। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
কাশ্মীর উপত্যকায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে জেহাদিদের কোমর ভাঙতে তৎপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গত এপ্রিল মাসে এক এনকাউন্টারে কাশ্মীরে খতম হয়েছে লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার ইউসুফ কান্তরো-সহ দুই জঙ্গি। তার আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শোপিয়ান (Shopian) জেলার বদগামে খতম হয় অন্তত ৪ জঙ্গি (Terrorist)। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি উলটে যায়। তাতে দুই সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। ওই এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গিরা সকলেই লস্করের সদস্য ছিল। সম্প্রতি কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের উপদ্রব বেড়েছে। এবার উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে জেহাদিরা মূলত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের টার্গেট করছে।