shono
Advertisement
Bangladesh

ইউনুস সরকারের 'অপারেশন ডেভিল হান্টে'র জালে ৪০, গাজিপুর অশান্তিতে জারি ধরপাকড়

গাজিপুরে আওয়ামি লিগের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা রুখতে দুষ্কৃতীদের মারধরের ঘটনায় ধৃতরা হাসিনারই সমর্থক, দাবি পুলিশ সুপারের।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 04:41 PM Feb 09, 2025Updated: 04:43 PM Feb 09, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি সামলাতে এখন ইউনুস সরকারের অস্ত্র 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' বা শয়তানের খোঁজ। শুক্রবার রাতে আওয়ামি লিগ নেতা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালাতে যাওয়া দুষ্কৃতীদের প্রহারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশে। গাজিপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেকের দাবি, এখনও পর্যন্ত ৪০ জন গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামি লিগ সমর্থক। তবে 'শয়তানের খোঁজ' এখনও চলছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এসবের জেরে রবিবার দিনভর চাপা উত্তেজনা গাজিপুর এলাকায়।

Advertisement

শুক্রবার গভীর রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকার অদূরে গাজিপুর এলাকা। সেখানকার দক্ষিণখানে আওয়ামি লিগ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার উদ্দেশে জড়ো হয় একদল দুষ্কৃতী। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ধরে ফেলে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাতে ১৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের একদল সদস্য। তাঁদের পালটা অভিযোগ, গাজিপুরে আওয়ামি লিগ সমর্থকরাই তাণ্ডব চালিয়েছে। আরও দাবি, মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর নয়, সেখানে ডাকাতির খবর পেয়ে আটকাতে গিয়েছিলেন ছাত্ররা। তাতে মারের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। ফলে শনিবার দিনভর দফায় দফায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। তার মাঝে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে আচমকা গুলি চলে, জখম হন এক ছাত্র।

পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ইউনুস সরকার 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'-এর নির্দেশ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং পুলিশ, বিজিবি, উপকূলরক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ বাহিনী এই অপারেশন চালাবে। তাঁর কথায়, ''শয়তানের মানে কী? এটা আসলে অশুভ শক্তির আস্ফালন। যারা এই দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে, আইনশৃঙ্খলা ভাঙছে, সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এই অপারেশন। শয়তানদের রুখতে হবে। সর্বোচ্চ সাজা হবে তাদের। নিরীহ ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ আমরা মানব না।'' তাঁর এই ভাষণেই উদ্দীপ্ত হয়ে ধরপাকড় শুরু করে যৌথ বাহিনী। একে একে ৪০ জন ধরা পড়ে। এখনও চলছে ধরপাকড়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অশান্তির বাংলাদেশে ইউনুস সরকারের 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'।
  • একে একে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ সুপারের দাবি, সকলেই আওয়ামি লিগ সমর্থক।
Advertisement