নন্দিতা রায়: রাজ্যের সবথেকে বড় রাজনৈতিক মহাযজ্ঞ শুরু হতে আর কয়েকদিন বাকি। শহরজুড়ে রাজনীতিকদের দাপাদাপি করতে দেখা যাবে, ঝান্ডা হাতে দলীয় কর্মীদের স্লোগান-মিছিলে সরগরম হয়ে থাকবে ভোপাল। শিবরাজ সিং চৌহান, অমিত শাহ, দ্বিগ্বিজয় সিং, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জনসভায় ভিড় জমাবেন মধ্যপ্রদেশের মানুষ। তা নয়, কঙ্গনা রানাওয়াতে মন মজেছে ভোপালবাসীর!
[নাট্য অ্যাকাডেমি থেকে ইস্তফা বিভাস চক্রবর্তীর]
‘পাঙ্গা’ ছবির শুটিংয়ের জন্য ‘কুইন’ কঙ্গনা এখন ঘাঁটি গেড়েছেন মধ্যপ্রদেশের রাজধানী শহরে। আর তাঁকে এক ঝলক দেখতে পাওয়ার জন্যই মানুষের যত আকুলি-বিকুলি। স্থানীয় রেল কলোনিতে শুটিং চলছে। শুটিংয় সেটের বাইরে দীর্ঘ লাইনে ভিড় জমাচ্ছেন কচি থেকে বৃদ্ধ সকলেই। বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কারও তেমন তাপ-উত্তাপ নেই। ছবিতে কবাডি খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। ভোপালের রাজা ভোজ বিমানবন্দর থেকে শহরে ঢোকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাসিমুখের বড় বড় ছবি৷ তবে, সেগুলির দিকে একবারও দৃষ্টি আনার চেষ্টা না করে শুটিং ভ্যানিটির সওয়ারিকে দেখতেই বেশি আগ্রহী সকলে৷
[একেই বলে ভালবাসা, হাতের তালুতে দীপিকার নাম লিখলেন রণবীর]
ভোপাল শহরের দু’টি ভাগ। পুরানো ভোপাল আর নতুন ভোপাল। নতুন ভোপালের রাস্তাঘাট ঝকঝকে। বিশাল ঝিলের পার বরাবর চোখ জুড়ানো রাস্তা। রাস্তার ধারে ধারে সাজানো পার্ক। বড় বড় দোকানপাট। পুরানো ভোপালে এর বিপরীত চিত্র। ভোপাল বিজেপির গড়। এখানে সাতটি বিধানসভা আসন। যার সবকটিই বিজেপির দখলে। এখানেও ভোটের অঙ্ক জাতপাতের সঙ্গেই জড়িত। তবে, এবার নাকি রাজ্যের শাসক দল বিজেপি ও প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস পুরানো নেতাদের বদলে নতুন মুখকেই টিকিট দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে। তাতে দু’দলের অন্দরেই ক্ষোভ। লড়াইও এবার হাড্ডাহাড্ডি। গতবার অবধি যেখানে এ রাজ্যে চোখ বন্ধ করে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, তা বলে দেওয়া যেত। এবারে তা নয়। এরই মধ্যে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এই শহরেই রয়েছেন। তাঁর রোড শো করার কথা ছিল কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এসবের প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের, সকলেই মেতে রয়েছেন কঙ্গনাকে নিয়েই৷
The post নির্বাচনের মরশুমে কঙ্গনায় মজেছে ভোপাল appeared first on Sangbad Pratidin.