সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির অঞ্জলিকে কে ভুলতে পেরেছে! কয়েক প্রজন্ম ধরে যুবকদের স্বপ্নের প্রেমিকা হয়ে আছে সে। আসলে তার মধ্য দিয়েই যে ভারতীয় নারীর এক প্রোটোটাইপ তুলে ধরেছিলেন পরিচালক করণ জোহর। চরিত্রের নেপথ্যে থাকা সেই ভাবনাটিই সমাদর পেয়েছে। কিন্তু সে ভাবনা কতটা ঠিক? অন্তত এখন পরিচালক নিজেই স্বীকার করছেন তা ততটা যুক্তিযুক্ত নয় বরং বেশ বোকা বোকা। সে কারণে ক্ষমাও চাইলেন করণ জোহর।
‘টম বয়’ অঞ্জলিকে কলেজের সকলেই পছন্দ করত। পছন্দ করত রাহুলও। কিন্তু বন্ধুতাই কি প্রেম? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কাহিনির মধ্যে বহুরৈখিক ওঠাপড়া। তবে এর মধ্যে অঞ্জলিরও পরিবর্তন। ছোট করে ছাঁটা চুল, পুরুষোচিত পোশাক-আশাক পছন্দ করা অঞ্জলি ক্রমশ হয়ে উঠবে চিরন্তন ভারতীয় নারীর প্রতীক। লম্বা চুলে, শাড়িতে মোহময়ী হয়ে ওঠামাত্র আবার পুরুষের আকর্ষণ ফিরে যাবে তার প্রতি। অঞ্জলিও খুঁজে পাবে তার জীবনের প্রেমকে। এ যেন অনেকটা কুরূপা থেকে সুরূপাতে উত্তরণ। কিন্তু সত্যি কি এ ভাবনা যথাযথ! ছবি দেখামাত্র প্রশ্ন তুলেছিলেন শাবানা আজমি। পুরুষের চোখে আকর্ষণীয়া হয়ে উঠতে গেলে সেই শাড়ি-লম্বা চুলের বাঁধা গতেই ফিরতে হবে? কেন নিজের ভালবাস পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন নারীর ব্যক্তিত্বই সবকিছু হয়ে উঠবে না? সেদিন এ প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি করণ। তবে প্রায় ১৮ বছর পর তাঁর মনে হয়েছে, সেদিনের ভাবনা সঠিক ছিল না। জীবনে প্রেম খুঁজে পেতে কাউকে তথাকথিত কুরূপা থেকে সুরূপা হওয়ার দরকার নেই। এবং সে কারণে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন তিনি।