সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বরসাত’ (১৯৪৯), ‘আওয়ারা’ (১৯৫১), ‘বুট পোলিশ’ (১৯৫৪), ‘শ্রী ৪২০’ (১৯৫৫), ‘জাগতে রহো’ (১৯৫৬), ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায়’ (১৯৬০), ‘মেরা নাম জোকার’ (১৯৭০), ‘ববি’ (১৯৭৩), ‘সত্যম শিবম সুন্দরম (১৯৭৮) থেকে রাজ কাপুরের শেষ ছবি ‘রাম তেরি গঙ্গা ময়লি’। এমন আইকনিক সিনেমার তৈরি হওয়ার সাক্ষী আর কে স্টুডিও। এবার বিক্রি হতে চলেছে সাত দশকের এই ঐতিহ্য। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলিউডের কাপুর পরিবার। সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন ঋষি কাপুর। জানিয়েছেন, পরিবারের সমস্ত সদস্য মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন করিনা কাপুর।
[পত্রিকার প্রচ্ছদে প্রকাশ্যে স্তন্যদান, শ্রীলেখার নয়া ছবিতে শোরগোল]
সম্প্রতি ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে এই প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। উত্তরে করিনা জানান, এ বিষয়ে তেমন কিছু তিনি জানেন না। বাবা রণধীর কাপুরের সঙ্গে গত চার-পাঁচদিন দেখাই হয়নি তাঁর। তবে যেটুকু শুনেছেন, তাতে এ সিদ্ধান্ত বড়দেরই। তাঁরা যা ভাল মনে করছেন, তাই-ই করেছেন। “ওই স্টুডিওর করিডোরেই মানুষ হয়েছি। অজস্র স্মৃতি রয়েছে সেখানকার। এটা কষ্টের তো বটে, তবে একদিন না একদিন তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।” বলেছেন করিনা।
আসলে গত বছর সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মুম্বইয়ের এই নামজাদা স্টুডিও। আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায় বহু পোশাক এবং দামি সরঞ্জাম। ঋষি কাপুর জানান, সেই ঘটনার পর প্রথমে ঠিক হয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে যাওয়া আর কে স্টুডিওকে ফের ঢেলে সাজানো হবে। কিন্তু তাতেও লাভের মুখ দেখার কোনও আশা ছিল না। তারপর একটা সময় ঠিক হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফের নতুন করে তৈরি করা হবে এর পরিকাঠামো। কিন্তু ছাই ঘেঁটে তো আর অট্টালিকা তৈরি করা সম্ভব হয় না! তাই নানা প্রচেষ্টার পরও আগের রূপে ফেরানো সম্ভব হয়নি এই জনপ্রিয় স্টুডিওকে। তাই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এ সিদ্ধান্ত নিতেই হয়েছে বলে জানান ঋষি।
[ওয়েব সিরিজে গোগোল, ‘শিমুলগড়ের খুনে ভূত’-এর খোঁজে খুদে গোয়েন্দা]
The post ঐতিহ্যবাহী আর কে স্টুডিও বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন করিনা appeared first on Sangbad Pratidin.