shono
Advertisement

Breaking News

‘শিক্ষা দিতে জানি’, কারগিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে বার্তা জেনারেল নারাভানের  

শহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি নারাভান।  The post ‘শিক্ষা দিতে জানি’, কারগিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে বার্তা জেনারেল নারাভানের   appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:44 PM Jul 26, 2019Updated: 12:44 PM Jul 26, 2019

অর্ণব আইচ: ২৬শে জুলাই ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি দিন। প্রায় দু’দশক আগে আজকের দিনেই পাক হানাদার ফৌজকে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে জয় এসেছিল রক্তের বিনিময়ে। আজ, বৃহস্পতিবার সেই শহিদদের স্মৃতিতে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘কারগিল বিজয় দিবস’। এদিন ফোর্ট উইলিয়ামেও ‘অমর জওয়ান’দের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভান। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: পেয়েছিলেন বীর চক্র, কারগিল যোদ্ধা এখন ট্রাফিক সামলান]

এদিন কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষে সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টার ফোর্ট উইলিয়ামে একটি কুস্তি প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। সকাল থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি পড়লেও উৎসাহে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। কারগিল যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন করা শহিদদের জন্য অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল নারাভান। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা ও বায়ুসেনার শীর্ষ কর্তারাও। শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এদিন চিন-সহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেন জেনারেল নারাভান। পড়শি চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এপর্যন্ত চিনের সঙ্গে প্রায় ২৩-২৪ রাউন্ড আলোচনা হয়ে গিয়েছে। দু’দেশই একাধিক বিষয়ে মতপার্থক্য কমিয়ে এনেছে। যেকোনও যুদ্ধে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা। আমরা সবসময়ই শান্তির পক্ষে।” তবে এদিন পরোক্ষে পাকিস্তান ও চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জিওসি-ইন-সি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যাঁরা অতীতের ভুল থেকে সবক নিতে চায় না, তাঁদের কীভাবে শিক্ষা নিতে হয় সেনা জানে। কোনঅভাবেই দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত সহ্য করা হবে না।                             

উল্লেখ্য, ডোকলাম পরবর্তী পরিস্থিতিতে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা বেড়েছে। তবে একই সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তে যেকোনও ধরনের আগ্রাসনের জন্য তৈরি রয়েছে ফৌজ। উল্লেখ্য, গত বছর সিকিমে বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশ করেছে চিনা সেনা। শুধু তাই নয়, অরুণাচল প্রদেশেও আগ্রাসী হয়েছে লালফৌজ। তিব্বতে একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি ও ভারী সামরিক সরঞ্জাম মজুত করেছে চিন। ফলে পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকছে ভারতও। ১৯৬১-র যুদ্ধে পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে অসমে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নির্মাণ করা হয় বগিবিল ও ধলা-শদিয়া সেতু। এর ফলে সহজেই অরুণাচলে সৈন্য ও সাঁজোয়া গাড়ি পাঠাতে পারবে সেনা। 

[আরও পড়ুন: জানেন, কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তানের উপর অগ্নিবর্ষণ করেছিল কোন অস্ত্রগুলি?]

                

The post ‘শিক্ষা দিতে জানি’, কারগিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে বার্তা জেনারেল নারাভানের   appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement