সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে আগেই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাসও মিলেছে। এবার কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার লক্ষ্য ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল করা। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ করে ফেললেন তিনি।
উপত্যকায় বিশেষ মর্যাদা ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হোক। কাশ্মীর বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করাল ওমর আবদুল্লার সরকার। বিজেপির প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে কাশ্মীর বিধানসভায়। বুধবার বিধানসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী প্রস্তাবটি পাশ করেন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, "কাশ্মীর বিধানসভা বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা এবং সাংবিধানিক গ্যারান্টিগুলোর গুরুত্ব আরও একবার স্পষ্ট করে দিতে চায়। এটাই কাশ্মীরবাসীর অধিকার, সংস্কৃতি এবং পরিচিতির পরিচায়ক। এই বিশেষ মর্যাদা যেভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে এই সদন উদ্বিগ্ন।"
ওই প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় সংহতির কথা মাথায় রেখে এবং একই সঙ্গে কাশ্মীরবাসীর স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে এই নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। এই প্রস্তাবটি পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির বিধায়করা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। এই প্রস্তাবের কপিটি ছিঁড়ে ফেলেন বিজেপি সদস্যরা। বিজেপির দাবি, এই আইন ভারতীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় মন্দির, সংসদে পাশ হয়েছে। এটা বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না।
উল্লেখ্য, সরকার গঠনের একদিন পরই জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সচেষ্ট হন নতুন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এবার তিনি সচেষ্ট ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবিতে। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেয় কেন্দ্র। ৩৭০ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরবাসীকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ৩৭০ ধারা ফেরানোর কোনও প্রশ্নই নেই, বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।