সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুসংস্কারের বলি হতে হল কেরলের ১১ বছরের নাবালিকাকে। তীব্র জ্বরে কাবু হওয়া সত্ত্বেও হয়নি চিকিৎসা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে মৌলবী ঝাড়ফুঁকের আশায় ছিলেন বাবা-মা। তার জেরেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারাতে হল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে।
জানা গিয়েছে, কেরলের (Kerala) কান্নুর জেলার বাসিন্দা ১১ বছরের ওই বালিকা। নাম ফতিমা। ফতিমার বাবা ও মায়ের নাম এম সি আব্দুল ও এম এ সাবিরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বর ছিল ফতিমার। তাপে সারা শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছিল তাঁর। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে নারাজ ছিলেন আব্দুল ও সাবিরা। দু’জনের বিশ্বাস ছিল, ফকিরের কেরামতিতেই সুস্থ হয়ে যাবে তাদের মেয়ে। কিন্তু তা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ত্রিপুরা সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আগরতলা থেকে দিনক্ষণ ঘোষণা অভিষেকের]
সময়ের সঙ্গে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে ফতিমা। এক সময় জ্ঞান হারায়। তারপর প্রতিবাদে সরব হন প্রতিবেশীরা। তাঁদের জোরাজুরিতেই ফতিমাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। হাসাপাতালে পৌঁছানো মাত্রই ফতিমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আব্দুলের প্রতিবেশীররা। শুধুমাত্র বাবা-মায়ের কুসংস্কারের জন্য বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল নাবালিকাকে। এই অভিযোগ করেন তাঁরা।
আব্দুলের বিরুদ্ধে কান্নুরের থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরই এক আত্মীয়। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা নথিভূক্ত করেছে পুলিশ। তবে প্রতিবেশীদের দাবি, এটিকে খুনের মামলা হিসেবে দেখা হোক। এভাবে একটি প্রাণচঞ্চল বালিকার মৃত্যু তাঁরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ফতিমার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আব্দুল ও সাবিরাকে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি ওঝার খোঁজও চালাচ্ছে পুলিশ। প্রয়োজনে আব্দুল ও সাবিরার বয়ানও রেকর্ড করা হতে পারে।