সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন স্ত্রী। তাড়াতাড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গাড়ির ব্যবস্থা করলেন স্বামী। সেটাই কাল হল। আচমকা গাড়িতে আগুন ধরে গেল। জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু হল স্বামী-স্ত্রীর। হাজারো চেষ্টা করেও দম্পতিকে বাঁচাতে পারলেন না স্থানীয়রা। দগ্ধ অবস্থায় তাঁদের দেহ পাওয়া যায়। কেরলের (Kerala) কান্নুর এলাকার একটি হাসপাতালের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে মৃতদের নাম প্রিজিথ ও রিশা। বৃহস্পতিবার আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা বাড়তে থাকে গর্ভবতী রিশার। তড়িঘড়ি গাড়ির ব্যবস্থা করে জেলা হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন প্রিজিথ। হাসপাতালের কাছে এসেই আচমকা গাড়িতে আগুন ধরে যায়। গাড়িতে সব মিলিয়ে চালক-সহ ছয়জন ছিলেন। এক শিশু-সহ চারজন কোনও মতে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু আগুনের হলকা সামলে বেরতে পারেননি রিশা ও প্রিজিথ। গাড়ির মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ফুরিয়েছে রাজার ধন! নির্বাচনে লড়তে সমর্থকদের কাছে হাত পাতলেন প্রদ্যোত দেববর্মণ]
আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। কিন্তু আগুন নেভানোর আগেই উদ্ধারকাজে নামেন স্থানীয়রা। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, “গাড়ির সামনের দিকটা দাউদাউ করে জ্বলছিল। আমরা তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু মনে হচ্ছিল তেলের ট্যাঙ্কটা ফেটে যাবে।” আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দম্পতির। গাড়ির বাকি যাত্রীরা সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কান্নুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “গাড়িতে থাকা অন্য যাত্রীরা সেভাবে আহত হননি। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে তাঁদের। আগুন লাগার পরে সামনের দরজা আচমকাই বিকল হয়ে যায়। সেই কারণেই গাড়ি থেকে নামতে পারেননি প্রিজিথ ও রিশা।” গাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগল কেন? প্রাথমিক ভাবে কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। প্রযুক্তিগত কিছু গণ্ডগোলের কারণেই আগুন লেগেছে বলে অনুমান। বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে গাড়ির পরীক্ষা করে তারপরেই আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।
[আরও পড়ুন: অশান্তির জের, ২৫ বছরের লিভ-ইন সঙ্গীকে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারলেন বৃদ্ধ]