সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার কাবুলের (Kabul) হাসপাতালে জঙ্গি হানায় মারা গিয়েছে তালিবানের (Taligban) দুই শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডার। বুধবার তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, হামদুল্লা মোখলিস নামে হাক্কানি নেটওয়ার্কের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং বদ্রি কর্পস স্পেশাল ফোর্সের এক অফিসারের মৃত্য়ু হয়েছে ওই হামলায়।
তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, সর্দার দাউদ খান হাসপাতালে জঙ্গি হামলার খবর পেতেই দ্রুত সেখানে যায় হামদুল্লা। এক তালিবান মুখপাত্রের কথায়, ''আমরা ওঁকে আটকাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনি আমাদের বাধাকে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে আমরা জানতে পারি উনি হাসপাতালে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে লড়তে গিয়ে মারা গিয়েছেন।''
[আরও পড়ুন: অভাব বড় বালাই! তালিবান জমানায় সংসার বাঁচাতে ছোট্ট মেয়েদের ‘বিক্রি’ করে দিচ্ছেন আম আফগানরা]
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই তালিবানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) (IS-K)। হাসপাতালে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফের রক্তাক্ত হয়েছে 'কাবুলিওয়ালার দেশ'। হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে তারা স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের গোষ্ঠীর পাঁচ সদস্য ওই হামলা চালিয়েছে।
নিঃসন্দেহে আইএসের এই ধরনের হামলার ঘটনায় সাধারণ আফগানদের জীবন যেমন বিপন্ন হয়েছে, তেমনই চাপে পড়েছে তালিবানও। কাবুলে গত তিন মাসে চারটি বড় নাশকতার পিছনে আইএসের হাত থাকায় তাদের দমন করতে উঠে পড়ে লেগেছে তালিবান নেতৃত্ব। এদিনও হামলার খবর জানার পরেই ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করে তালিবান সেনা। গোটা ঘটনায় নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়ছে তাদের।
[আরও পড়ুন: বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন তালিবানের! তবে শর্তাবলী প্রযোজ্য]
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাতের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে মার্কিন সেনা সেদেশ ছাড়ার পর থেকেই। মসজিদ থেকে শুরু করে অন্যান্য অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলা ঘটিয়ে ইতিমধ্যেই তালিবানকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আইএস। তাদের উত্থান কেবল তালিবান নয়, ভাবাচ্ছে আমেরিকাকেও। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ক্রমে শিকড় মজবুত করছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। এবং ভবিষ্যতে তা তালিবানের মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠতে চলেছে। বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে।