অভিরূপ দাস: হাসপাতালের বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ রোগীর পরিবারের। পিপিই বাবদ আদায় করা হয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা! ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে রোগীর পরিবার। শুনানি শেষ হওয়ার আগেই অবাক কাণ্ড। পিপিই বাবদ নেওয়া সিংহভাগ টাকা ফেরত দিয়ে দিল ওই হাসপাতাল। অভিযোগ ফিরিয়ে নিল রোগীও।
গত মার্চ মাসের ঘটনা। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ৮৬ বছরের প্রৌঢ় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৬ মার্চ তাঁকে ভর্তি করা হয় ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসা শেষে লম্বা বিল দেখে সন্দেহ হয় রোগীর পরিবারের। বিল খুঁজে দেখেন, চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসকরা যে পিপিই কিট পরেছিলেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছিলেন তা বাবদই ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা ধরা হয়েছে বিলে। এরপরেই স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন রোগীর পরিবার। শুনানি চলাকালীনই রোগীর পরিবারকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: এক বছর ধরে বেতন নেই, কাজে যোগ দিতেও বাধা, স্বাস্থ্যকর্তার বকেয়া মেটাতে বলল হাই কোর্ট]
কী ছিল প্রস্তাবে? রোগীর পরিবার জানিয়েছেন, বিলে নেওয়া ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার মধ্যে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে হাসপাতাল। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে রোগীর পরিবার। হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা অভিযোগও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অভিযোগ প্রত্যাহারের পরেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের সূত্রে এদিন জানানো হয়েছে, পিপিই কিট সংক্রান্ত এই অভিযোগ মিটমাট হয়ে গিয়েছে।
করোনা চিকিৎসায় লাগামছাড়া টাকা নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এই অভিযোগে একাধিকবার সরব হয়েছেন রোগীর পরিজনরা। সম্প্রতি নবান্নেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এর আগেও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে সামান্য স্যানিটাইজারের জন্য মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ এসেছিল।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় করোনা রোগীর সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’, আক্রান্তকে ‘জুতোপেটা’, বাধা দেওয়ায় মার স্ত্রীকেও]
The post পিপিই বাবদ ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার বিল ধরাল হাসপাতাল, কমিশনের দ্বারস্থ রোগীর পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.