নব্যেন্দু হাজরা: পুজোর ভিড়ের মাঝে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মেট্রোই ছিল বেশিরভাগ মানুষের একমাত্র ভরসা। তৃতীয়া থেকেই সব ভিড় যেন এসে মিশেছিল শহরের লাইফলাইনে। আর তার জেরে যাত্রীসংখ্যার নিরিখে মেট্রোই যেন প্রায় প্রতিদিন নিজের কাছে হার মেনেছে। আর যাত্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আয়ও।
মেট্রোর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, পঞ্চমী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত মেট্রোয় যাত্রী হয়েছে ৪১.৬৫ লক্ষ। যার মধ্যে দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ রুটে হয়েছে ৩৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৪৫ জন। আর পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোয় ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৮১ জন। পুজোর এই কদিনে দমদম স্টেশন থেকেই প্রায় ৪ লক্ষ যাত্রী টিকিট কেটেছেন। সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৫৭ জন। কালীঘাটে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৩০ এবং শোভাবাজার সুতানুটি স্টেশনে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৪৯ জন। পুজোর পাঁচদিনে টোকেন এবং স্মার্ট কার্ড থেকে মেট্রোর রোজগার হয়েছে ৬.১২ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: ‘তল্লাশির নামে রান্নাঘর তছনছ, জামাকাপড় ছবি তুলেছে’, ফিরহাদের বাড়িতে ইডি হামা নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা]
রাত পোহালেই রেড রোডে পুজো কার্নিভ্যাল। শুক্রবার ১০০টির মতো পুজো এই কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করবে। আর এই শোভাযাত্রা দেখে দর্শনার্থীদের বাড়ি ফিরতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে কারণেই ওইদিন মাঝরাত পর্যন্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত ২৩৪টি মেট্রো রেক চালানো হয়। সেখানে কার্নিভ্যালের দিন ২৫২টি রেক চালানো হবে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। দমদম থেকে কবি সুভাষগামী প্রথম মেট্রোও একই সময়ে ছাড়বে।
আর দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। রাতে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী দিনের শেষ মেট্রো ছাড়বে ১০টা ৫৮ মিনিটে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টায়। দমদম থেকে কবি সুভাষগামী শেষ মেট্রো ছাড়বে ১১টা ১০ মিনিটে। কবি সুভাষ থেকে দমদমের দিকের শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ১০-এ। আয়ও বাড়বে বলেই আশা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।