অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় (Kolkata) চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। নারকেলডাঙায় খালের পাশ থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ। ওই যুবকের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। নিহতের মা নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যুবকের দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও খুনের আগে প্রচণ্ড মারধরের প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার তিনজন। আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিহতের নাম শেখ শামিম ওরফে নাটা। বছর বত্রিশের ওই যুবক ক্যানাল ইস্ট রোডের ৪৩এইচ/৩ ঝুপড়ি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা পনেরো নাগাদ ওই এলাকারই একটি খালের পাশ থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর দেহে মেলে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। দেহটি উদ্ধার করে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ময়নাতদন্ত হয় তাঁর। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মিলেছে মারধরের প্রমাণ।
[আরও পড়ুন: ৪০ জন পড়ুয়া-সহ উধাও সল্টলেকের স্কুলের ৩টি বাস, চারঘণ্টা পর মিলল খোঁজ]
শুক্রবার সকালে নিহতের মা মীনা শেখ একটি ফোন পান। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, মোবাইল এবং টাকার ব্যাগ চুরি গিয়েছে। সেটি শামিমই চুরি করেছে বলেই দাবি করে ওই ব্যক্তি। নারকেলডাঙা থানায় যান নিহতের মা। গোটা ঘটনাটি জানান তিনি। চোর সন্দেহে (Suspicion Of Theft) তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাক করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল দীপক রায়, মেহেরিলাল চৌধুরী, বিজয় লাল। দীপককে বেলেঘাটা রোড ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরিলালকে ১২ নম্বর এবং বিজয় লালকে ১০ নম্বর কাঠগোলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৪ এবং ২০১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।