কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: লকডাউনের জেরে ফাঁকা পথঘাট, ধু ধু করছে ভিআইপি রোড। অন্য যানবাহনকে পাশ কাটিয়ে দেখেশুনে যাওয়ার ব্যাপার নেই। ফলে আনন্দে দ্রুতগতিতে স্কুটি ছুটিয়েছিলেন কেষ্টপুরের বাসিন্দা এক দম্পতি। সঙ্গে ছিল ৬ মাসের সন্তান। ভিআইপি রোডে আচমকাই স্কুটির চাকা পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনা। দশ ফুট দূরে ছিটকে পড়েও নেহাৎ বরাতজোরেই রক্ষা পেল শিশুটি। মা, বাবা অল্পবিস্তর আহত।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ। কেষ্টপুরের জোড়াখানা এলাকার বাসিন্দা শান্তনু গুপ্ত সপরিবারে এয়ারপোর্টের দিক থেকে কলকাতার দিকে আসছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সুনীতা, ছিল ৬ মাসের সন্তানও। স্কুটির গতি ছিল তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। সেসময় বিগবাজার পেরিয়ে জোড়া মন্দিরের কাছে দু’চাকার যানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, চাকা আচমকা স্কিড করে যাওয়ায় স্কুটিটি ধাক্কা মারে রাস্তার মাঝখানের একটি ডিভাইডারে। ৬ মাসের বাচ্চাটি শান্তনুবাবুর স্ত্রী সুনীতাদেবীর কাঁধে ঝোলানো একটি ব্যাগে ছিল। চাকা স্কিড করে দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন তাঁরা। তবে ওই ব্যাগে থাকার ফলে ছিটকে গিয়েও শিশুটির তেমন চোট লাগেনি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ, মুখ্যসচিবকে কড়া ভাষায় চিঠি কেন্দ্রের]
তবে সুনীতাদেবী এবং শান্তনুবাবু দু’জনই বেশ চোট পেয়েছেন। সুনীতাদেবীর কপালে এবং কাঁধে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। অল্পবিস্তর জখম শান্তনুবাবুও। দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় বাগুইআটির এক বেসরকারি হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাবা এবং মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুনীতাদেবীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। তবে এই দুর্ঘটনার পর মেয়েকে কাছে পেয়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, ফাঁকা রাস্তা মানেই বেপরোয়া গতিতে স্কুটি চালানো যায় না। বিশেষত সঙ্গে যখন ছোট্ট সন্তান, তখন সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ ছিল বইকি তাঁদের।
[আরও পড়ুন: শহরবাসীকে সচেতন করতে এবার মাইক হাতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, রাস্তায় গাড়িতে বসেই প্রচার]
The post লকডাউনে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া স্কুটি, দুর্ঘটনার পর বরাতজোরে রক্ষা ৬ মাসের শিশুর appeared first on Sangbad Pratidin.
