গোবিন্দ রায়: ধর্ষণের তদন্তে গাফিলতি এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ খোদ পুলিশের (Police) বিরুদ্ধেই। আর তাই ফৌজদারি মামলা রুজু করে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত (Alipore Court) । কসবার একটি ধর্ষণের মামলায় তদন্তের গাফিলতির অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে তদন্তকারী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুতীর্থ বন্দোপাধ্যায়।
অভিযোগ, দু’মাস আগে এক যুবকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা ওই তরুণী। নির্যাতিতার দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরও তদন্তকারী অফিসার ও কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তে গাফিলতি করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তরুণীর আরও অভিযোগ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন তাঁরা।
[আরও পড়়ুন: ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে ফের স্থানীয়দের বাধার মুখে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বচসা পুলিশের সঙ্গেও]
তরুণীর কথায়, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ ছিল। পুলিশকে বারবার জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেই তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ তো দূরে থাক, এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি।” বরং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ তরুণীর। বর্তমানে ওই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পাটুলি মহিলা থানায়।
নির্যাতিতার আইনজীবী মিতা বন্দোপাধ্যায় জানান, “ধর্ষণের তদন্তের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের একটা ‘স্ট্যান্ডার্ড ইনভেস্টিগেটিং’ পদ্ধতি আছে। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে তদন্তে নেমেই শুরুতে বেশি কিছু তথ্য প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করা অনিবার্য। তার মধ্যে অন্যতম হল নিগৃহীতার অন্তর্বাস, পরনের পোশাক। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সেগুলো সংগ্রহ করে তার নমুনা এবং রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠায়নি পুলিশ৷ তার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়নি৷ অভিযুক্তের ফুটপ্রিন্ট বা ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হয়নি। ফলে তদন্তে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে চূড়ান্ত গাফিলতি করেছে কসবা থানার পুলিশ।” এর পরই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।