রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২৬-এর নির্বাচনে বাকি আর কয়েকটা মাস! তার আগেই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য সংঘাত মেটাতে আসরে খোদ অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিধানসভা জয়ে রাজ্যের চার মুখ অর্থাৎ শমীক ভট্টাচার্য , শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষকে এক ছাতার তলায় আনতে মরিয়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়া সহজ হচ্ছে না বিজেপি নেতাদের। এজন্য দু'মাস যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে বিধায়কদের। এজন্য পদ্ম বিধায়কদের এদিন শাহ টাস্কও বেঁধে দেন বলে সূত্রের খবর।
সোমবার রাতে কলকাতা সফরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উদ্দেশ্য নেতা-কর্মীদের ছাব্বিশের রোডম্যাপ বুঝিয়ে দেওয়া। আজ, বুধবার সকালে কলকাতার একটি হোটেলে দলের সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর শমীক ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেখানে ছিলেন ভূপেন্দ্র যাদব, সুনীল বনসল, বিপ্লব দেব। সূত্রের খবর, বৈঠকে আলাদাভাবে সবার কথা শোনেন শাহ। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকে মতুয়াগড়ের গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ-বিধায়ক শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকী রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজও এদিনের শাহী বৈঠকে ছিলেন না।
সূত্রের খবর, দলের সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু নির্দেশও তিনি দেন বলে সূত্রের খবর। যেমন পদ্ম বিধায়কদের নিজের এলাকায় কাজ বাড়াতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত চারদিন নিজ এলাকায় থাকতে হবে তাঁদের। করতে হবে অন্তত পাঁচটি পথসভা। তবে ২৬-এর নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে শাহের স্পষ্ট নির্দেশ, পুনরায় টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে আগামী দু'মাসে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে বিধায়কদের। আর তা পূরণ হলেই মিলবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ!
বলে রাখা প্রয়োজন, বিধানসভা হোক কিংবা লোকসভা, নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। প্রশ্ন ওঠে, নিচুস্তরের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে দিল্লি থেকে। কার্যত সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেদিকে তাকিয়েই এবার প্রার্থী বাছাইয়ে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন শাহ অ্যান্ড কোং? অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে একাধিক বিধায়কের আসন বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি প্রাক্তন সাংসদদেরও তাঁর নিজ নিজ কেন্দ্রে অবিলম্বে সক্রিয় হতে শাহ নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
