দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কখনও বোর্ড অফ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য আবার কখনও ভিজিল্যান্সের ডিজি পদমর্যাদার অফিসার পরিচয় দিত সে। আর সেই পরিচয়ে তরুণীদের নিজের ফাঁদে ফেলত প্রতারক। তারপরে মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে পুলিশের ভাল চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে করা হত প্রতারণা। এমন অভিযোগেই গ্রেপ্তার হল এক ভুয়ো চিকিৎসক। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বোর্ড অফ মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভুয়ো পরিচয়পত্র, একটি মোবাইল। রবিবার বিকেলে গড়িয়া (Garia) থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে সোমবার দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শেখর গঙ্গোপাধ্যায়। সে বালিগঞ্জের বাসিন্দা। ৬২ বছর বয়স অভিযুক্তের। কথাবার্তা, চালচলনে তরুণীদের আকর্ষণ করত সে। চাকরির জন্য অনেক তরুণী তার কাছে যেতেন। অভিযুক্ত তাদের বলত মেডিক্যাল পরিক্ষা ছাড়া পুলিশের চাকরির হবে না। এমনকী, পুলিশের কনস্টেবল, এসআই পদে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে টোপ দেওয়া হত তাদের। মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে কখনও বা রাতে সিআইডি অভিযানের নাম করে তরুণীদের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হত।
[আরও পড়ুন: Weather Update: ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই মিলবে রাজ্যবাসীর? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, অনেক তাবড় তাবড় পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে বলেই নিজেকে জাহির করত ধৃত। এইভাবে অনেক তরুণী প্রতারিত হন। ২০১৬ সালে গড়িয়াহাট থানায় প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বারুইপুর থানায় গত জুলাই মাসে এক প্রতারিত মহিলা অভিযুক্তের নামে অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার গড়িয়া এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁসের পর থেকে ভুয়ো আধিকারিক (Fake Officer) গ্রেপ্তারি যেন লেগেই রয়েছে। সেই তালিকায় শেখর গঙ্গোপাধ্যায় নবতম সংযোজন। তরুণীদের প্রতারণার ঘটনায় বোর্ড অফ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য পরিচয়ে ধৃত শেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।