সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হু হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। তীব্র গরমে নাজেহাল আমজনতা। পাখা ছাড়া এক মুহূর্তও যেন টেকা দায়। তীব্র গরম সামাল দিতে এসি কেনার হিড়িকও বাড়ছে। ফলস্বরূপ ওভারলোডিংয়ের জেরে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ পরিষেবা না পাওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ আমজনতা। CESC-কে কাঠগড়ায় তুলছেন গ্রাহকরা। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে সহযোগিতার আরজি জানাল বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে শনিবার বিবৃতি জারি করে CESC। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে জানানো হয়, “আমাদের শহর অপ্রত্যাশিত এক তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। তার ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। বিগত বহু বছর ধরেই আমরা সফলভাবে শহরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পেরেছি। এভং ১৬ জুন বিদ্যুতের সর্বকালীন রেকর্ড চাহিদা ২ হাজার ৬০৬ মেগাওয়াটও আমরা সরবরাহ করতে পেরেছি।”
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে সিউড়িতে গ্রেপ্তার অস্ত্রপাচারকারী, শান্তিনিকেতনে উদ্ধার বোমা]
নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের আরজিও জানায় CESC। ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের সমস্ত মূল্যবান গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে আবেদন জানাচ্ছি যে আপনাদের এয়ার কণ্ডিশনারগুলি বিবেচনার সঙ্গে ব্যবহার করুন এবং লোড ব্যবহার অনুমোদিত পরিমাপের মধ্যে রাখুন। এর ফলে আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামোর উপর মাত্রাতিরিক্ত ওভারলোডিং নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এবং আপনার ও আপনার অঞ্চলে উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে যেতে আমাদের সাহায্য করবে। আমরা আন্তরিকভাবে আপনাদের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।”
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের আরেকটা মিথ্যা ধরা পড়ে গেল। ওরা বারবার বলে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত। এবার ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। জেলা ছেড়ে দিন, কলকাতার বুকে লোডশেডিং চলছে। মানুষ রাতে ঘুমোতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গকে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছেন মমতা।”