shono
Advertisement
Jadavpur University

বাবুলের পর ব্রাত্য! উত্তপ্ত যাদবপুরে SFI-এর হামলায় ভাঙল গাড়ি, এসএসকেএমে শিক্ষামন্ত্রী

বছর ছয় আগে এখানেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও এভাবেই আক্রান্ত হন।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 04:31 PM Mar 01, 2025Updated: 05:19 PM Mar 01, 2025

ধীমান রক্ষিত: দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলে ধুন্ধুমার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সরাসরি হামলার মুখে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়েবকুপার সভা শেষে তাঁকে আটকে দেওয়া হয় ক্যাম্পাসে। তাঁর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। গাড়ির বনেটে উঠে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআইয়ের বিক্ষোভকারীরা। পালটা তৃণমূল ছাত্র পরিষদও 'অ্যাকশনে' নামে। দুপক্ষের হাতাহাতিতে মাথা ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। তবে আহত কোন পক্ষের, তা অজ্ঞাত। হাতাহাতির মাঝে পড়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘড়ি ছিড়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁর কোমরেও চোট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ব্রাত্য বসুকে। মন্ত্রীর রক্ষীও আহত হয়েছেন বলে খবর। 

Advertisement

সবমিলিয়ে, দীর্ঘদিন পর এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সাক্ষী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বছর ছয় আগে এখানেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও এভাবেই আক্রান্ত হন। সেসময় তিনি বিজেপি সাংসদ ছিলেন। এসএফআই সদস্যরা তাঁর চুল ছিড়ে নজিরবিহীন আক্রমণে নেমেছিল।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রদের বাধার মুখে পড়েন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ফাইল ছবি।

এবারও প্রায় তার পুনরাবৃত্তি। দুুপুরে ওয়েবকুপার বার্ষিক সভায় যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির সামনে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। সেসময় তিনি অন্য প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকেন। কিন্তু সভার মাঝে তাঁর ভাষণে ঢুকে পড়ে এসএফআইয়ের সদস্যরা চেয়ার ভাঙচুর করে কার্যত তাণ্ডব শুরু করেন। এরপর সভা শেষে ব্রাত্য বসুর পথরোধ করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর সামনেই কার্যত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এসএফআই-টিএমসিপি। একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরতে থাকে। এমন বেনজির পরিস্থিতি দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁকে ভিড় থেকে বের করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বিক্ষোভ।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এসএফআই-কে 'অসভ্য', 'বাঁদরামি সীমা' পেরন বলে উল্লেখ করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন, 'অধ্যাপক ডঃ প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাদবপুরে যারা এই অসভ্যতা করল, তাদের এবং ওই সংগঠনগুলিকে চিহ্নিত করে রাখা দরকার। প্রদীপ্ত নিপাট ভদ্রলোক। তার সঙ্গে বাঁদরামি করা কয়েকটা অসভ্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা দরকার। তৃণমূলের সৌজন্য মানে দুর্বলতা নয়। গায়ে হাত দেবে কেন? শাসক বলে সংযত নিশ্চয় থাকা উচিত। কিন্তু বাঁদরামি সীমা পার করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া উচিত।'

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বেনজির বিক্ষোভ।
  • তাঁর গাড়ির হাওয়া খুলে দেওয়ার অভিযোগ এসএফআই-এর বিরুদ্ধে।
  • অসুস্থ ব্রাত্য বসুকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএম হাসপাতালে।
Advertisement