সুদীপ রায়চোধুরী: গত কয়েকদিন আগেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার শুরু হচ্ছে শুনানির কাজ। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে সেই কাজ। খসড়া তালিকা প্রকাশের পরেই শুনানির জন্য নোটিশ পাঠানোর কাজ শুরু হয়। বুথের দায়িত্বে থাকা বুথস্তরের আধিকারিক অর্থাৎ বিএলওরাই সেই কাজ করছেন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে যাঁদের ম্যাপিং করা সম্ভব হয়নি, তাঁদেরকেই শুনানির জন্য ডাকা হবে। এমন ভোটারের সংখ্যা রাজ্যে প্রায় ৩২ লাখ বলে দাবি কমিশনের। ইতিমধ্যে ১০ লাখ নোটিশ ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্ত নোটিশ ছাপানো শেষ হবে বলে মনে করছে কমিশন।
অন্যদিকে মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের কাজও শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, প্রায় চার হাজার মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত নিয়োগপত্র তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত শুনানির কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকবেন এই সমস্ত আধিকারিকরা। এই কাজের বিশেষ ট্রেনিংয়েরও আয়োজন করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর নজরুল মঞ্চে বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু'দফায় এই ট্রেনিং হবে। উল্লেখ্য, মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করতে চেয়ে আগেই কমিশনকে চিঠি দেয় সিইও দপ্তর। সেই মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও এহেন নিয়োগ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
শুনানি পর্বে কোথাও কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটারদের নোটিশ দেওয়ার সময় সই করিয়ে একটি রিসিভ কপি দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যখন শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন, সেই সময়ও একটি সই করতে হবে। সই যাচাই করে দেখা হবে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এক কিনা! কিন্তু কোথায় হবে শুনানির কাজ? ইতিমধ্যে সেই ঠিকানাও চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক লেভেলে শুনানি হবে বিডিও অফিস কিংবা সরকারি ভবনে। এমনকী সরকারি স্কুল, কলেজেও শুনানি হবে বলে খবর। পাশাপাশি পুরসভার বিল্ডিংয়েও শুনানির কাজ হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
