অর্ণব আইচ: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর হাতে উঠল নয়া যুদ্ধজাহাজ। গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড নয়া এই জাহাজ তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, চেন্নাই পোর্ট ট্রাস্টে আধুনিক ওই যুদ্ধজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্যালো ওয়াটারক্রাফট। এর নামকরণ করা হয়েছে 'অঞ্জদীপ'। সংশ্লিষ্ট সিরিজের এটি অষ্টম যুদ্ধজাহাজ বলে জানা গিয়েছে। যা শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে।
'অঞ্জদীপ' গার্ডেনরিচের তৈরি করা ১১৫ তম জাহাজ। এর মধ্যে ৭৭ টি জাহাজ তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীকে। নয়া এই জাহাজ হস্তান্তরের সময় চেন্নাই পোর্ট ট্রাস্টে উপস্থিত ছিলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল গৌতম মারওয়া। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে মোট চারটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ। অঞ্জদীপের আগে সেগুলি তৈরি করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাডভান্স গাইডেড মিসাইল ফ্রিজেট 'হিমগিরি'। এ এস ডাবলু এস ডাবলু সিরিজের প্রথম জাহাজগুলি হল 'অর্ণলা' ও 'আনদ্রথ' এবং 'ইকশক'। চারটি ভেসেলই বর্তমানে নৌসেনার জন্য কাজ করে। এই কর্মকাণ্ডে দেশের মধ্যে এক নজির তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ।
শুধু তাই নয়, কত দ্রুত একটি যুদ্ধজাহাজ ডেলিভারি করা সম্ভব, তারও নজির তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ। গত সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মাত্র কয়েকমাস আগে 'আনদ্রথ' নামে জাহাজটি ডেলিভার করা হয়। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত কতটা আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে তারই এক উদাহরণ তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স। কারন এই সবকটি যুদ্ধ জাহাজে রাখা হচ্ছে দেশে তৈরি অস্ত্র। অন্তত ৮৮ শতাংশ জিনিসই দেশীয়।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই জাহাজগুলি একইসঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকায় নজরদারি চালাতে পারবে। একইসঙ্গে তল্লাশি কিংবা শত্রুপক্ষের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমস্ত জাহাজে রয়েছে কম্বাইন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। রয়েছে হালকা ওজনের টর্পেটো ও অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ার ফেয়ার রকেট। থাকছে ৭ জন অফিসার-সহ ৫৭ জনের থাকার ব্যবস্থাও। শুধু জলে নয়, যদি স্থলভাগ থেকেও কোনও বিপদের আভাস পাওয়া যায় তাহলেও সহজেই ছুটে যেতে পারবে এই 'অঞ্জদীপ'। তেমনই প্রযুক্তি রয়েছে এতে।
বলে রাখা প্রয়োজন, বর্তমানে ১২টি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছে গার্ডেনরিচ। এর মধ্যে রয়েছে দুটি P17A, পাঁচটি ASW SWC, একটি সার্ভে ভেসেল ও চারটি নেক্সট জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল। এছাড়াও এক জার্মান সংস্থার জন্য একগুচ্ছ মাল্টিপারপাস ভেসেল তৈরি করা হচ্ছে।
