shono
Advertisement

Jhalda Municipality: ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের জটিলতা, হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত পূর্ণিমা কান্দুই পুরপ্রধান

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ফের মামলার পরবর্তী শুনানি।
Posted: 04:33 PM Jan 20, 2023Updated: 05:11 PM Jan 20, 2023

গোবিন্দ রায়: তিনদিনে তিনজন। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে পর্যন্ত আপাতত ওই পুরসভার চেয়ারপার্সন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

Advertisement

গত ১৬ জানুয়ারি কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান পদে বসেছিলেন নির্দলের হয়ে জেতা কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এই প্রথম কোনও মহিলা ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান নির্বাচিত হন। ওইদিন কংগ্রেসের (Congress) ৬ এবং নির্দলের এক কাউন্সিলর-সহ ৭টি ভোটে তিনি পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরদিন অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি তিনি প্রথম কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দু’দিন কাটতে না কাটতেই ফের জটিলতা দেখা দেয়।

[আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ থাকায় রান্না করেননি অঙ্গনওয়াড়ির সহায়িকা! খাবার না নিয়েই ফিরল খুদেরা]

গত ১৯ জানুয়ারি দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন ঝালদার মহকুমা শাসক ঋতম ঝা। আর তার এক ঘণ্টার মধ্যেই সুদীপ কর্মকারকে নয়া পুরপ্রধান হিসাবে ঘোষণা করে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। দায়িত্ব নেওয়ার দু’দিনের মধ্যে এহেন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে বাকরুদ্ধ হয়ে যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলায় শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয়। বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “বারবার হেরে যাওয়া সত্ত্বেও কেন সেই দলের প্রতিনিধিকেই বসানো হচ্ছে? প্রশাসনের এত তাড়া কীসের?”

সওয়াল জবাব চলার পর আদালত শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত মহকুমা শাসকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা ঝালদা পুরসভার বর্তমান কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু বলেন, “সত্যের জয় হবেই। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে নিহত তপন কান্দুর আত্মা শান্তি পাবে।” হাই কোর্টের নির্দেশের পর থেকে জারি রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। আদালত যখন দায়িত্ব দিয়েছে, তখন তাঁকে আমরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

[আরও পড়ুন: কবিতার প্রত্যুত্তরে কবিতা, রবীন্দ্র রচনায় বৃদ্ধার প্রশংসার উত্তর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement