সুদীপ রায়চোধুরী: কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তরের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত কয়েকদিনে দফায় দফায় 'বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি'র সদস্যরা সিইও দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তা নিয়ে। এরপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে আনা হচ্ছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অর্থাৎ সিইও দপ্তরকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আজ শনিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে শুনানি পর্ব। সেদিনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরাও সিইও দপ্তরে যান। জানা গিয়েছে, ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে সিইও মনোজকুমার আগরওয়ালের নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে। তাঁকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার পরেই কাজের চাপ-সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিএলওরা। কলকাতায় সিইও দপ্তরের বাইরে রীতিমতো অবস্থান বিক্ষোভে বসেন 'বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি'। শুধু তাই নয়, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন নতুন করে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয় সিইও দপ্তরের বাইরে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দপ্তরের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন বিএলওরা। যা নিয়ে একেবারে রণক্ষেত্র আকার নেয়। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও আগেই নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন কমিশনের তরফে জানানো হয়।
এরপরেই আজ শনিবারই তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা সিইও দপ্তরে যান। ঘুরে দেখেন গোটা অফিস। পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। শুধু তাই নয়, খুব শীঘ্রই নতুন দপ্তরে পরিবর্তন হচ্ছে সিইও দপ্তর। সেই অফিসও এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা পরিদর্শন করেন বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, এক সেকশন বাহিনী সিইও দপ্তরে মোতায়েন করা হচ্ছে। ওয়াই ক্যাটাগরির আওতায় প্রত্যেকদিন চার থেকে পাঁচ জনের এক একটি দল সিইও দপ্তরের বাইরের নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সিইও মনোজ আগরওয়ালের নিরাপত্তাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে খবর। এছাড়াও অন্যান্য আধিকারিকদেরও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দেবে বলেও খবর।
