সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চালতাবাগান মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে জমজমাট সিঁদুর খেলার দৃশ্য। প্রায় প্রতিবছরই টলিপাড়ার সেলেবরা এই মণ্ডপেই বিজয়ায় ভিড় জমান। মা'কে বরণ করে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। তবে করোনার জেরে গত দু'টি বছর বেশ ফ্যাকাসে ছিল এই পুজোর চেহারাটা। কিন্তু এবছর পুজোয় আবারও ফিরতে চলেছে সেই চেনা ছবি। সেই সঙ্গে হেরিটেজ হয়ে ওঠা দুর্গাপুজোকে অনন্য থিম ভাবনায় সেলিব্রেট করতে চলেছে চালতাবাগান সার্বজনীন। কীভাবে?
আসলে গত বছর বাংলার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2022) হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। তবে শুধু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবই হয়, ভারতের একাধিক ঐতিহ্যবাহী শিল্প, সৃষ্টি, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য কেড়ে নিয়েছে 'হেরিটেজ' তকমা। উত্তরপ্রদেশের রামলীলা থেকে পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য, কেরল থেকে রাজস্থানের লোকশিল্প, ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতিতে বিশ্বজনীন হয়েছে ভারতের নানা সংস্কৃতি। দুর্গাপুজোকে অনন্য সম্মান দিয়ে বাঙালির মুকুটে নয়া পালক জুড়ে দিয়েছে ইউনেস্কো। আর তাই এ বছর এই সমস্ত লোকশিল্প ও সংস্কৃতিগুলি ফুটিয়ে তোলা হবে চালতাবাগানের মণ্ডপে।
[আরও পড়ুন: SSC Scam: ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্য ভূমিকা ছিল সুবীরেশের’, আদালতে সওয়াল CBI আইনজীবীদের]
থিমের পোশাকি নাম 'যাপনের উদযাপন'। অর্থাৎ জীবনের উদযাপন করতে চলেছে চালতাবাগান। ভারতের ঐতিহ্য, ইতিহাস, ট্র্যাডিশন যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। এই থিমের সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হবে প্রতিমা। যেখানে দেবীকে রানি রূপে তুলে ধরা হবে। রানির কাছে যেমন তাঁর রাজত্বের সমস্ত মানুষ সন্তানসম, সেভাবেই দেবী দুর্গা সকলের মা হিসেবে শোভা পাবে এই মণ্ডপে।
এবার এই পুজোর প্রতিমা নিয়ে প্রথমে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদলেই নাকি তৈরি হচ্ছে চালতাবাগানের প্রতিমা। যদিও উদ্যোক্তাদের তরফে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, এমন কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। পরে জানা যায়, দেবীকে তাঁরা রানি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন বলেই এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। একই ছাদের নিচে গোটা দেশের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্থাপত্য ও শিল্পের সাক্ষী থাকতে আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছে চালতাবাগান।
