অর্ণব আইচ: ডা. দ্বারকানাথ কোটনিসের ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাল কলকাতার চিনা কনস্যুলেট। 'জাপানি সামরিক আগ্রাসনে'র বিরুদ্ধে চিনা জনগণের প্রতিরোধযুদ্ধের বছরগুলিতে, ডা. কোটনিস এবং ভারতীয় মেডিকেল মিশনের তাঁর সহকর্মীরা যুদ্ধবিধ্বস্ত চিনে অকাতরে মানুষের সেবা করেন। অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, তিনি অসাধারণ দক্ষতা এবং সাহসের সঙ্গে অসংখ্য চিনা নাগরিকের জীবন রক্ষা করেন। ভারত ও চিন বন্ধুত্বের অন্যতম দিশারী হিসাবে ওই বঙ্গ সন্তানকে স্মরণ করছে চিনা কনস্যুলেট।
চিনা কনস্যুলেটের তরফে জানানো হয়েছে, এ বছর জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চিনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধের এবং বিশ্ব 'ফ্যাসিবাদ-বিরোধী' যুদ্ধজয়ের ৮০তম বার্ষিকী। ইতিহাস স্মরণ, শহীদদের সম্মান এবং শান্তির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার জন্য চিন সমারোহপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুদ্ধের সময় চিনকে সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ডা. কোটনিস এবং ডা. বি.কে. বসু তাদের মধ্যে রয়েছেন।
চিনা কনস্যুলেটের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'কিছুদিন আগে, চিনের ২০তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রস্তাবগুলি অনুমোদন করেছে, যা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য একটি স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছে। চিন সমাজতান্ত্রিক আধুনিকীকরণের দিকে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ যতই উন্নত হোক না কেন, আমরা ডা. কোটনিস এবং ডা. বসুর অবদান কখনই ভুলব না। ডা. কোটনিসের উত্তরাধিকার চিন-ভারত সম্পর্কের এক মূল্যবান সম্পদ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। আমাদের কনস্যুলেট জেনারেল পূর্ব ভারতের বন্ধুদের সাথে তাঁর চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীল ও সুদৃঢ় বিকাশকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।'
