রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দেরিতে হলেও শেষমেশ সঠিক পথে হেঁটেছে দল। সেই কারণ দেখিয়ে আলটপকা মন্তব্য থেকে বিরত থাকার কথা ঘোষণা করলেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)। আচমকাই বদলে ফেললেন টুইটারের বায়োও!
দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে তথাগত রায়কে। কখনও প্রার্থী নির্বাচন বা অন্য কোনও বিষয়, বারবার দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তথাগতবাবু। কখনও সরাসরি আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষকে। বিধানসভা নির্বাচবে ভরাডুবরি জন্য দলের রাজ্য নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন তিনি। যার ফলে দলের সঙ্গে দূরত্বও বেড়েছিল। একটা সময়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, দেখে নিন ২০২৩-এর পরীক্ষাসূচি]
এদিকে একের পর এক ভোটে ভরাডুবির জেরে বিজেপির অন্দরে অশান্তি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি দিলীপকে সেন্সর করা হয়েছে। তাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ না খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। এরপরই দলের প্রশংসা করে টুইট তথাগত রায়ের। এদিন তিনি লেখেন, “কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে দেরিতে হলেও সঠিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে আমি দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করব না। নিজের ‘ঠোঁটকাটা’ ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই টুইটারের বায়োও পরিবর্তন করছি। ভারত মাতা কী জয়!” ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, বিগত দিনগুলিতে বারবার দিলীপ ঘোষকেই ইঙ্গিত করেছিলেন তথাগত। দলে তাঁর গুরুত্ব কমতেই নতুন করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টায় তথাগত।
এদিকে বৃহস্পতিবার নদিয়ার তেহট্টে জনসভা ছিল বিজেপির। সেখানে দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একসঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। জেলা পার্টির কার্যকর্তারা সেই মতোই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু একই মঞ্চে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কর্মসূচি কার্যত এড়িয়ে গেলেন সুকান্ত। এমনটাই গুঞ্জন দলের মধ্যে। সুকান্তর অবশ্য দাবি, “আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে প্রেস কনফারেন্স ছিল বলে যেতে পারিনি।” এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “জেলা থেকে আমায় আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। আমি ও রাজ্য সভাপতি থাকব বলেই জানতাম। আমাকে এড়ানোর জন্য কি না বা কেন রাজ্য সভাপতি এলেন না তা তিনিই বলতে পারবেন।”