সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে কাজ হারা বাড়ির কাজে সাহায্য করতে আসা দিদিরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের দলেও তাঁরা পরেন না। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ও করোনা সংক্রমণের জেরে প্রতিটি কাজের বাড়িতেই বন্ধ হয়েছে তাদের অবাধ যাতায়াত।
সকাল হতেই স্টেশন চত্বরে থিকথিক করছে ভিড়। শিয়ালদহ, পার্কসার্কাস, বালিগঞ্জ, দমদম সব স্টেশনেরই একই হাল। তবে সেসব এখন অতীত। সংক্রমণের ভয়ে বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক আগেই এই রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহন ফলে কাজ হারিয়েছেন বাড়ির কাজে সাহায্য করতে আসা কাজের দিদিরা। রুমা পায়রা জানান, “প্রায় ৪০ দিন ধরে বাড়িতে বসে আছি। যে বাড়িতে কাজ করতাম সেই বাড়িতে কাজ করতে যেতে বারণ করা হয়েছে। এমনকি তাঁরা টাকাও দেবে না বলে দিয়েছে। এই অবস্থায় কিকরে সংসার চালাব বুঝে উঠতে পারছি না। তাই এখন পুরোপুরি খাবারের জন্য রেশনের ভরসায় দিন চালাতে হচ্ছে। ৮টি বাড়িতে কাজ করে আমি সাত থেকে আট হাজার টাকা পাই। আমার স্বামীর কোনও চাকরি নেই।” এমতাবস্থায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। কারণ মার্চ মাসে কিছুটা কাজ করলেও গোটা এপ্রিল মাসে তারা কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। ফলে অভাবের সংসারে যেখানে নুন আন্তে পান্তা ফুরোয় সেখানে এক মাসের মাইনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু রুমা পায়রা নন তাঁর মত অনেকেরই সংসার চালাতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে আবার তাঁদের পরিবারে একাই রোজগেরে। ফলে কীভাবে তারা ফের কাজ ফিরে পাবেন বা কিভাবে সংসার চালাবেন সেই চিন্তাতেই কাটছে দিনরাত।
[আরও পড়ুন:রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে উদ্ধার ২০ বস্তা রেশনের চাল! উত্তেজনা অন্ডালে]
অন্যদিকে চিন্তা বাড়িয়ে বৃদ্ধাশ্রম, অনাথ আশ্রমগুলিতে খাবারে টান দেখা দিয়েছে। সেখানেও এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার লোকের অভাব। এতদিন ধরে যারা সাহায্য করতেন সংক্রমণের ভয়ে সকলেই তারা আটকে বাড়িতে। যদিও শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক লকডাউনের তৃতীয় পর্বে নিয়মে কিছুটা শিথিলতা জরি করেছে। তাও বাইরের এলাকার কাউকে নিজেদের এলাকায় প্রবেশের আগে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:প্রকাশ্যে কর্তব্যরত কর্মীকে চড়, কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ির স্বাস্থ্যকর্তা]
The post লকডাউনের কোপে পরিচারিকারা, কাজ হারিয়ে রেশনের ভরসায় দিনযাপন তাঁদের appeared first on Sangbad Pratidin.
