রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের মানুষ যখন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তখন মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে কৈলাসের পরামর্শ, রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পর্কে সংঘাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। বিজেপি সাংসদ ও নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দোষারোপ করবেন না।
করোনা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে মৃত ও আক্রান্তের তথ্য গোপন, রেশন দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। পালটা বিজেপির বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। করোনা নিয়ে শাসক ও বিজেপির মধ্যে বাকযুদ্ধ তুঙ্গে। তখন বুধবার রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এই খোলা চিঠি শাসক-বিরোধী তরজার রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিল। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া খোলা চিঠিতে কৈলাসের অভিযোগ, করোনায় মৃতের তথ্য গোপন করা হচ্ছে। অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করলে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সঙ্কটজনক। চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীদের উপযুক্ত সুরক্ষা নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
[আরও পড়ুন: ‘আমিও মানুষ, আমার মাথা যন্ত্রণা করছে’, বিরোধীদের রাজনীতি বন্ধ করার ডাক মমতার]
রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর বক্তব্য, রাজনীতির কথা বলতে নবান্নকে ব্যবহার করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করতে সরকারি সচিবালয়কে ব্যবহার করছেন। একইসঙ্গে দিলীপবাবুর প্রশ্ন, কলকাতায় নাকি ৭৯০টি বেড খালি পড়ে রয়েছে। তাহলে কেন ভর্তি হতে পারছে না রোগীরা। বাঙুর আউটপোস্টের পুলিশ অফিসারকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সত্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, সংশোধনের চেষ্টা করছেন না বলে মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও প্রশাসন ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ দিলীপ ঘোষের।
বিজেপি সাংসদ তথা সংসদের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ডাঃ সুভাষ সরকার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের ১৪ দিন কাজ করানো হোক ও বাকি ১৪ দিন কোনও হোটেলে রাখা হোক। বাড়িতে রাখাটা নিরাপদ নয়। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য মন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিমার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সুভাষবাবু। এদিকে, সিইএসসির বিদ্যুতের বিল তিন মাস মকুব ও অস্বাভাবিক বিল আসা বন্ধের দাবি তুলেছে বিজেপির যুব সংগঠন যুব মোর্চা। যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ শিকদার জানান, এই দাবিতে যুব মোর্চার সমস্ত নেতা-কর্মীরা একসঙ্গে টুইটও করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘পরস্পরের বিরুদ্ধে ছুরি মারা বন্ধ হোক’, চিঠিতে কল্যাণকে জবাব ধনকড়ের]
The post করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না, মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি কৈলাসের appeared first on Sangbad Pratidin.
