অর্ণব আইচ: সোনার চাকতি। দেখতে অনেকটা ডিভিডির মতোই। শুধু পুরোটাই বিদেশ থেকে পাচার করা সোনা (Gold) দিয়ে তৈরি। এবার সোনার বিস্কুটের সঙ্গে সঙ্গে সোনার চাকতিও উদ্ধার করলেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজ্যান্সের গোয়েন্দারা। হুগলির উত্তরপাড়া থেকে মধ্য কলকাতার বড়বাজারে পাচার হওয়ার আগেই সাড়ে চার কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। গ্রেপ্তার পাচারকারী।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সোনা পাচারকারীর নাম রাকেশ ভার্মা। তার আসল বাড়ি বিহারের বক্সারে। মধ্য কলকাতার বড়বাজারের এক সোনার কারবারি তথা পাচার চক্রের মাথার হয়ে কাজ করে রাকেশ নামে ওই যুবক। সাধারণত বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে চোরাপথে ও কখনও বা উত্তর পূর্ব ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা সোনা পাচারকারীরা নিয়ে আসে কলকাতার আশপাশে। পাচারের আগে সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে বড়বাজারের ওই সোনার কারবারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী রাকেশ বিভিন্ন স্টেশনের কাছ থেকে ওই সোনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে বড়বাজারে।
[আরও পড়ুন: ‘সব মহিলা আইনের কাছে পৌঁছতে পারেন না’, নারী অধিকার নিয়ে সরব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
সম্প্রতি ডিআরআই আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, উত্তরপাড়ায় পাচারকারীরা নিয়ে আসছে সোনা। সেইমতো গোয়েন্দারা উত্তরপাড়া স্টেশনের বাইরে ফাঁদ পাতেন। সোনা সংগ্রহ করে পিঠের ব্যাগে পুরে স্টেশনের দিকে রওনা হতেই রাকেশকে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৭ কিলো ৫৭২ গ্রাম সোনা। এর দাম ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৫৮৪ টাকা। পুরো সোনা ছিল ১২টি বিস্কুট ও একটি চাকতির আকারে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সাধারণভাবে বাঁট ও বিস্কুটের আকারে সোনা পাচার করা হলেও চাকতি বিরল। চাকতি অল্প জায়গায় রাখা সহজ বলে পাচারকারীরা সোনা গলিয়ে এই রূপ দিয়েছে। রবিবার ধৃত যুবককে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাকে ২ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ওই চক্রের মাথা সোনার কারবারির সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে ডিআরআই।