সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের পর এবার তৎপর ইডি (ED)। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লির সদর দপ্তরে নিয়ে গিয়ে জেরার আবেদন। বুধবার এই মর্মে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালতে আবেদনও জানান আধিকারিকরা। গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে প্রয়োজনে অনুব্রতকেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লিতে।
গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে নেমে প্রায় চমকে যাওয়ার মতো তথ্য পান তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনে সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো। একজন সামান্য সরকারি কর্মীর এত বিপুল সম্পত্তি এল কোথা থেকে, স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দেয়। এরপরই গত ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যেই তাঁরও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নামে, বেনামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর। গরু পাচারের টাকায় এত বিপুল সম্পত্তির অধিকারী অনুব্রত হয়েছেন বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
[আরও পড়ুন: ছিন্ন সিটি কলেজের সঙ্গে তিন দশকের বন্ধন, অধ্যাপনা থেকে অবসর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যর]
এছাড়াও বারবার সিবিআইয়ের (CBI) তরফে দাবি করা হচ্ছে, গরু পাচার কোনও একজনের মাধ্যমে হয়নি। এটি সংঘবদ্ধভাবে করা হয়েছে। বুধবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের এজলাসে সওয়াল জবাব চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দাবি করেন, এনামুল হক গরু পাচার কাণ্ডের মূল মাথা। তার কাছে থেকে টাকা নিত সায়গল হোসেন। আর সায়গল সেই টাকাই পৌঁছে দিতেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কাছে। এই তথ্যের যদিও সত্যতা স্বীকার করেননি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। তিনি ভরা এজলাসেই পালটা দাবি করেন, সমস্ত সম্পত্তির মালিক অনুব্রত। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া গেলে আয়কর দপ্তরকে তৃণমূল নেতা জরিমানা দিতে রাজি বলেই জানানো হয়েছে। এই বাকবিতণ্ডার মাঝে এখনও পর্যন্ত গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনও তথ্য পায়নি সিবিআই। তাই এই মামলা নিয়ে এবার তৎপর ইডি।
অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করে গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের। সায়গল বর্তমানে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে। তাঁকে আসানসোল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এই মর্মে আবেদনও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এবার আদালত কী রায় সেটাই দেখার। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকেও। গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে জেরা করা হতে পারে তাঁকে।
