নিরুফা খাতুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মর্মান্তিক ঘটনা যাদবপুরের আনন্দপল্লি এলাকায়। নিজের মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেপ্তার বাবা! পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে আনন্দপুরের ফ্ল্যাটের নিচে বছর পনেরোর কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। খবর পাঠানো হয় পুলিশেও। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটি তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবাই মেয়েকে খুনের উদ্দেশে ধাক্কা দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যাদবপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ একটি ফোন আসে থানায়। তাতে জানানো হয়, আনন্দপল্লির এক বাসিন্দা তাঁর মেয়েকে তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, ৯৬/৩ নং ফ্ল্যাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিবেশী সংযুক্তা চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে। চিন্ময় গোপ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯ অর্থাৎ খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
কিন্তু কী কারণে নিজের মেয়েকে এভাবে খুনের চেষ্টা? সেই প্রশ্ন উঠছে। বাবা-মেয়ের মধ্যে কি সম্পর্ক কোনও কারণে খারাপ ছিল নাকি মেয়ের কোনও কাজে অসন্তুষ্ট বাবা শাস্তির জন্য এই কাণ্ড ঘটালেন? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তবে তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায়। শুধু ঘটনার ভয়াবহতার কথা ভেবে বারবার শিউরে উঠছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজ করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। নজর রয়েছে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার দিকেও। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে তার বয়ান নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
