গোবিন্দ রায়: শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মালদহের চাঁচলে সভা করার কথা বিরোধী দলনেতার। কোচবিহারের সভায় থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। দুই জায়গাতে সভার অনুমতি মিলছিল না বলে অভিযোগ। এরপরেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আজ বুধবার হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে চাঁচল এবং কোচবিহার, দুই জায়গাতেই সভায় অনুমতি দেন বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরী। তবে এক্ষেত্রে মানতে হবে শর্ত।
বছরের শুরুতেই মালদহের চাঁচলে সভা রয়েছে বিজেপির। যেখানে প্রধান বক্তব্য হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত থাকার কথা। সেই সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। মামলাকারীর আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, এই সভা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে এসডিপিও বলেছেন, নতুন বছর উজ্জাপিত হবে। ফলে এত লোক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এই বিষয়ে পুলিশের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। দীর্ঘ শুনানি শেষে সভার অনুমতি হাই কোর্ট দিলেও বেঁধে দেওয়া হয় শর্ত। কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই সভায় নয় হাজার সমর্থক এবং ৭০ টি মাইক্রোফোনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
পাশাপাশি আগামী ২ জানুয়ারি কোচবিহারে বিজেপির সভা নিয়েও তৈরি হয় জটিলতা। তা নিয়েও এদিন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। শুনানিতে আইনজীবী জানান, গত ২৬ তারিখ সভার অনুমতি চাওয়া হয় জেলা প্রশাসনের থেকে। ২টো থেকে ৬টা ৫০০০ লোক নিয়ে সভা করতে চাওয়া হয়। ওল্ড পোস্ট অফিস পাড়া গ্রাউন্ডে সেই সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে এদিন আদালতে অভিযোগ জানান বিজেপির আইনজীবী। এক্ষেত্রে রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, যে জায়গায় এই সভা করার কথা বলা হচ্ছে, সেটি সরকারি জমি। জেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। গতকাল রাত ৮. ২৪ মিনিটে পুলিশের থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
শুনানি শেষে আদালত কোচবিহারে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়। তবে সভায় ৩০০০ লোক থাকতে পারবে। ২০টি লাউডস্পিকার, ৮টা বক্স, ৪ মাইক্রোফোন থাকবে। কোনওভাবে সভা ঘিরে যাতে আইনশৃঙ্খলা অবনতি না হয়, সেদিকে পুলিশকে নজর রাখতে হবে বলেই নির্দেশ হাই কোর্টের। বলে রাখা প্রয়োজন, এই সভাতেও উপস্থিত থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী।
